অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জেলার টেকনাফে আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় বাবা-মা ও ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ সময় প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও একবছর কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নিশাত সুলতানার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান- কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হল- টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী এলাকার মো. মকবুলের ছেলে মো. মঞ্জুর ওরফে কল মঞ্জুর, তার ছেলে মো. ফোরকান ও স্ত্রী আমিনা খাতুন।
রায় ঘোষণার সময় মো. মঞ্জুর ও আমিনা খাতুন আদালতে উপস্থিত থাকলেও অপর আসামি মো. ফোরকান পলাতক রয়েছে বলে জানান- রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
মামলার নথির বরাতে পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী এলাকায় নিজের বসত ভিটায় মুরগীর ঘর দেখাশোনা করছিলেন আব্দুল করিম। এসময় পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) প্রেরণ করেন। পরদিন (২৮ আগস্ট) সকালে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল করিম মারা যান।
রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে মো. ফোরকান, তার বাবা মো. মঞ্জুর ওরফে কল মঞ্জুর ও মা আমিনা খাতুনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট জমা দেন। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর (চার্জগঠন) আদেশ দেন।
ফরিদুল বলেন, দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়া প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও একবছর কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় মামলা প্রধান আসামি মো. ফোরকান পলাতক থাকলেও অপর দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান পিপি।
Leave a Reply