অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের ১৯ ধারায় যে বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে তা বাল্যবিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেয়ে প্রশ্রয় দেয়। তাই আইনের এই ধারা সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আয়োজনে ‘শিশুর প্রতি সহিংসতা নিরসনে প্রচারাভিযান’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, বাল্যবিয়ের ছোবলে পড়ে নারীর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাল্যবিয়ের কারণ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। একটি গবেষণায় এসেছে- অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে ১৮.৯৯ ভাগ, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে ২৫.৪৬ ভাগ বাল্যবিয়ে হয়। এছাড়া কম বয়সে বিয়ে দিলে যৌতুকের পরিমাণ কম দিতে হয় বলে মনে করে বাবা-মা। আমি মনে করি- বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও ধর্মীয় নেতাদেরকে বেশি করে সম্পৃক্ত করা জরুরি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বাল্যবিয়ের কারণে অন্যান্য আর্থ-সামাজিক প্রতিবন্ধকতা যেমন- মাতৃমৃত্যু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মেয়েদের ঝরে পড়া ইত্যাদি দেখা যায়। সেজন্য বাংলাদেশ সরকার মেয়ে শিশুদের বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া রোধ করার জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি চালু করেছে। এর ফলে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়ের সংখ্যা ছেলেদের চেয়ে ১০ শতাংশ বেড়েছে।
বাল্যবিবাহ রোধে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের বেশি সচেতন করা জরুরি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ভিশন পরিচালিত “লিসেনিং টু ব্রাইডস” শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনা করা হয়। এতে আরও বক্তব্য রাখেন- ওয়ার্ল্ড ভিশনের ন্যাশনাল ডিরেক্টর সুরেশ বারলেট, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর অপারেশনস চন্দন গোমেজ এবং উপ-পরিচালক নিশাত সুলতানা।
Leave a Reply