হামলায় আহত আওয়ামীলীগ নেতা এনামুল হক ও মাহামদুল হক
বশির আল–মামুন, চট্টগ্রাম : কক্সবাজারের চকরিয়ায় নৌকার প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদের সংবর্ধনা যাওয়ার পথে এক ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতানহ ১০-১২জনকে আহত করা হয়েছে। এসময় ভাংচুর করা হয় ৯-১০টি গাড়ি। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর স্টেশন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহতদের মধ্যে এনামুল হক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবিল ইউপি’র ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার। অপর আহতরা জনসভায় যোগ দিতে যাওয়া সাধারণ মানুষ। তাদের তাৎক্ষণিক নাম পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানায়, বুধবার দুপুরে চকরিয়া পৌরশহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদের সংবর্ধনা যাচ্ছিলেন সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার এনামের নেতৃত্বে ৫শতাধিক লোক। এসময় সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র লাঠি, হকিস্টিক ও লোহার রড় নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ভাংচুর করা হয় ৯-১০টি তাদের বহনকারী গাড়ি। আহত হয় মেম্বারসহ ১৩ জন।
মাতামুহুরী থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুল জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী সিআইপির সংবর্ধনাস্থলে যাওয়ার জন্য সাহারবিল থেকে পাঁচ শতাধিক মানুষ গাড়ি বহর নিয়ে যাওয়ার পথে নবী চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছে। এসময় খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার আলম সহ আমরা ঘটনাস্থলে গেলে সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোসেনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ক্যাডার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দ্বিতীয় বার হামলা করে। এসময় সাহারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদুল হক মারাত্মকভাবে আহত হয়। তারা ৯-১০টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে জানান মহসিন বাবুল।
এদিকে সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোসেন ও তার ক্যাডার বাহিনীকে গ্রেফতারের দাবীতে তাৎক্ষনিক মিছিল ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এসময় শতশত মানুষ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ম্যাজিষ্ট্রেট রাহাতউজ্জামানের নেতৃত্বে বিপুল পরিমাণ র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, হামলার খবর পেয়ে আইনশৃঙখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। ##
Leave a Reply