28 Feb 2025, 10:43 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকা এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে সিরিয়া প্রশ্নে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়া ইস্যুতে ডাকা জরুরি বৈঠকে এই বাকবিতণ্ডা হয়।

সম্প্রতি বিদেশী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো আবার সিরিয়ায় বর্বর তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু এলাকা তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এ নিয়ে সিরিয়ার অনুরোধে গতকাল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক ডাকার প্রতি রাশিয়া, চীন এবং আলজেরিয়া সমর্থন দিয়েছিল।

বৈঠকে কয়েকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্য এবং সিরিয়া ও ইরানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। বৈঠকের শুরুতেই সিরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি গেইর অটো পেডারসন বলেন, সন্ত্রাসীদের তৎপরতা সিরিয়র সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। তিনি জাতিসংঘে পাস হওয়া ২২৫৪ নম্বর প্রস্তাব অনুসারে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধের আহ্বান জানান।

বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের পুনর্গঠন এবং মদদ দেয়ার জন্য সরাসরি আমেরিকা ও তার মিত্রদের দায়ী করেন। বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূতও পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থানের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের হামলার কারণে সিরিয়ার স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বৈঠকের সভাপতি এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড সিরিয়া পরিস্থিতির জন্য আগের মতোই রাশিয়া, ইরান এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রতিরোধ আন্দোলনকে দায়ী করেন। একইভাবে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সিরিয়া সংকটের জন্য রাশিয়া ও ইরানকে অভিযুক্ত করেন।

নিরাপত্তা পরিষদের এ বৈঠকে আরব দেশগুলো সিরিয়ার জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য আহ্বান জানান।

সিরিয়া ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক রাশিয়া ও আমেরিকার বাকবিতণ্ডা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ক্ষণস্থায়ী সামরিক আইন জারির কারণে পদত্যাগের দাবির মুখে পড়েছেন দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল।

গতকাল মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণকালে আকস্মিকভাবে দেশে সামরিক শাসন জারির ঘোষণা দেন তিনি। তার এই ঘোষণার পরপরই সরকার ও বিরোধীদলীয় পার্লামেন্ট সদস্য এবং সাধারণ জনগণ পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা অবিলম্বে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ ও সামরিক আইন প্রত্যাহারের দাবি জানায়। দক্ষিণ কোরয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ‘ইয়োনহাপ’ এই খবর জানায়।

সামরিক আইন জারির উদ্দেশ্যে হচ্ছে পার্লামেন্টে বিরোধী লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পাটির সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে তিনি কোনো আইন পাস করতে পারছিলেন না। পার্লামেন্টের তিনশ’ আসনের মধ্যে উত্তর কোরীয় পন্থী লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পাটির আসন সংখ্যা ১৯০টি।

সামরিক আইন জারির ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সামরিক আইনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশ পুনর্গঠন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সিউল থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

কিন্তু তার এই গোষণার সাথে সাথে পার্লামেন্ট ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় পার্লামেন্ট সদস্য ও সাধারণ জনগণ জড়ো হতে থাকেন। গভীর রাতে পার্লামেন্টে সামরিক আইনের পক্ষে-বিপক্ষে ভোটাভূটি অনুষ্ঠিত হয়। স্পিকার ভোটাভূটির পর বলেছেন, ‘দেশের সংসদ জনগণের পাশে থাকবে।’

সামরিক আইনের বিপক্ষে বেশি ভোট পড়ার পর তিনি সামরিক আইন বাতিল বলে ঘোষণা দেন। রাতেই মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকের পর ভোর সাড়ে ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সামরিক শাসন প্রত্যাহার করা হয়।

বুধবার সকালে প্রেসিডেন্ট জাতির উদ্দেশ্যে আবার ভাষণে বলেন, ‘পার্লামেন্টের ভোটাভূটির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আমি সামরিক আইন তুলে নেওয়ার কথা সেনাবাহিনীকে জানিয়েছি।’

এদিকে বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, ‘দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের কিছু একটা করা উচিত। মনে হচ্ছে দেশ একনায়কতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্টের কাজটি করা মোটেও ঠিক হয়নি।’

প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে সাধারণ জনগণ রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন। তারা বলেছেন, ‘আমরা খুবই আতঙ্কিত। এই ধরনের পদক্ষেপ জাতির জন্য লজ্জাজনক।’

উল্লেখ্য, প্রায় চার দশক পর দেশটিতে সামরিক শাসন জারি করা হয়। দেশটির বৃহত্তম শ্রমিক সংগঠন প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে অনিদিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

এদিকে দেশটির বৃহত্তম বিরোধী দল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে পদত্যাগ না করলে তারা পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টকে ইমপীচ করবে।

 

সামরিক আইন জারির কারণে দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশনার আর্জি পেশ করে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহিন আরা লাইলি হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেছেন।

বাসসকে বিষয়টি আজ জানান রিটের পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।

রিটে তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ডিজিসহ সংশ্লিষ্টদের এই রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।

 

ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে হাইকোর্টে রিট

স্টাফ রিপোর্টার : এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ -৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের  মহেশপুরের শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছেন যাদবপুর কলেজ।

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যাদবপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ জিপিএ-৫ সহ ১২৮ ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে।

যাদবপুর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কলেজের সকল শিক্ষক-শিখিক্ষা আর অভিভাবকদের প্রচেষ্টার কারনেই আজ যাদবপুর কলেজের এ সুনাম অর্জন করতে পেরেছে।

তিনি আরো জানান, অমি প্রতিটা অভিভাবকে কাছে কৃতজ্ঞ।

মহেশপুরের নামি দামি ১০টি কলেজকে টপকিয়ে যাদবপুর কলেজ আজ শীর্ষে উঠল।

 

 

 

 

এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শীর্ষে যাদবপুর কলেজ