22 Feb 2025, 11:03 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মাছের আঁশ থেকে তৈরি হবে জৈবপ্লাস্টিক। পরিবেশ বান্ধব এ প্লাস্টিক ভেঙে যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। হাতে-কলমে পুরো প্রজেক্টসহ তারা নিয়ে এসেছে নিজেদের বানানো প্লাস্টিকও। খুদে মাথায় এমন উদ্ভাবনী চিন্তা প্রদর্শন করে রাজধানীর হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী অঙ্কিতা হালদার ও সুমাইয়া আহমেদ হয়েছেন ‘বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসব’ এর এবারের আসরের সেরাদের সেরা।

সাত বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক পর্ব শেষে সম্প্রতি রাজধানীর শিশু একাডেমিতে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এবং বিজ্ঞানভিত্তিক মাসিক পত্রিকা বিজ্ঞানচিন্তার যৌথ আয়োজনে দিনজুড়ে নানা অনুষ্ঠান এবং বিজয়ীদের পুরস্কৃত করার মধ্য দিয়ে শেষ হয় বিজ্ঞান উৎসবের দ্বিতীয় আসর। বিজ্ঞান প্রকল্প প্রদর্শনী ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলগুলোর হাতে পুরস্কার হিসেবে বই, ট্রফি, মেডেল, সনদ ও বিকাশের পক্ষ থেকে ল্যাপটপ তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.), বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক ও ছড়াকার আনজীর লিটন, বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, অনুজীব বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা, উন্মাদ ম্যাগাজিনের সম্পাদক ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীবসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

 

বাংলাদেশের খুদে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দুর্যোগ, অগ্নিকাণ্ডসহ অন্যান্য দূর্ঘটনায় দ্রুত সময়ে উদ্ধারকাজ চালাতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার পুরো বিশ্বেই বেড়েছে। তবে এদিক দিয়ে সবার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি।

উদ্ধার অভিযানে ব্যবহার করার জন্য আবুধাবি নিয়ে এসেছে উড়ন্ত বাইক। গত ১৩ মার্চ ইয়াস বেতে উড়ন্ত বাইকটি প্রদর্শন করা হয়।

বাইকটি তৈরি করা হয়েছে শক্তিশালী কার্বন ফাইবার দিয়ে। যেটি দুর্গম ও রুক্ষ অঞ্চলে অনায়াসে যেতে পারবে। এটি উদ্ধার অভিযান, অনুসন্ধানমূলক কাজে একটি কার্যকরী জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রের কাজ করবে। এছাড়া ভূ-স্থানিক ম্যাপিংয়েও এটি সহায়ক হবে।

উড়ন্ত এ বিশেষ বাইকটি তৈরি করেছে বায়নাত নামের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা। ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত একটি পোস্টে বায়নাত জানিয়েছে, এয়ারউইনস টেকনোলোজির সঙ্গে যৌথভাবে তারা এটির ডিজাইনসহ যাবতীয় কাজ করেছে।

এই উড়ন্ত বাইকটি তৈরি করা হয়েছে অবকাঠামোবিহীন পরিবহনের বিষয়টি মাথায় রেখে। বলা হচ্ছে এটি জীবন রক্ষাকারী পরিস্থিতি— যেমন মরুভূমি, লেক, উপসাগরে অনুসন্ধান এবং জরুরি পরিবহন কাজে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া আকাশে তথ্য সংগ্রহ এবং ড্রোনের সঙ্গে কাজ করতে ব্যবহার করা যাবে।

বাইকটি তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান আরও দাবি করেছে, কেউ এটির মতো দ্বিতীয় কোনো বাইক বানাতে পারবে না। কারণ এটির স্থিতিশীল নিয়ন্ত্রণ তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এছাড়া এনক্রিপ্ট করা গোপন প্রযুক্তির মাধ্যমে এই বাইকটির তথ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

কীভাবে বাইকটি তৈরি করা হয়েছে : একদল দক্ষ প্রকৌশলীর অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এ বিশেষ বাইকটি তৈরি করা হয়েছে। এটি নির্মাণের সঙ্গী ছিলেন প্লে-স্টেশন, মহাকাশ, বিমান এবং মোটরযানের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা।

বিমান ও মহাকাশ যানে যে কার্বন ফাইবার ব্যবহার করা হয় এই বাইকেও একই ফাইবার ব্যবহৃত হয়েছে। বাইকটির ওজন মাত্র ৩০০ কেজি। আর এটি ১০০ কেজি ওজন বহনে সক্ষম। মাত্র একটি জ্বালানি ট্যাংক নিয়ে বাইকটি ৮০ কিলোমিটার গতিতে ৪০ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারবে। এছাড়া এটি মাটি থেকে ২০ মিটারেরও বেশি উচ্চতায় উড়তে পারে।

বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে, ২৭০ হর্স পাওয়ারের টার্বো চার্জড-৪ স্ট্রোক কাওয়াসাকি গ্যাসোলিন মোটর বাইক রেসিং ইঞ্জিন। এটির ওজন রাখা হয়েছে ৭০ কেজিতে। বাইকটি আকাশে উড়ন্ত ও স্থিতিশীল রাখতে যুক্ত করা হয়েছে চারটি পাখা। সূত্র: খালিজ টাইমস

আরব আমিরাতে উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত হবে অত্যাধুনিক উড়ন্ত বাইক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমান সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভায় এক ভিডিও বার্তায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তরুণদের দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদে পরিণত করতে ৫৫৫টি জয় ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলার, প্রাথমিক স্তরে ১০ লাখ কোডার, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ১০ লাখ প্রোগ্রামার এবং এসএসসি ও এইচএসসি পাশ ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ২০৩১ সাল নাগাদ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ৪১ সাল নাগাদ প্রযুক্তি নির্ভর উচ্চ আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কাজ করছি। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার জন্য তরুণ  প্রজন্মসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামকে সফল করেছেন এবং প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে দেশের আইসিটি খাতে সঠিক অবকাঠামো গড়ে উঠেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির শক্তিকে সমন্বয় করে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি। মানুষ ২ হাজারের বেশি সরকারি সেবা পাচ্ছে। ৫২ হাজার ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সাড়ে ৮ হাজার ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রতি মাসে ১ কোটি মানুষ স্বল্প সময় ও স্বল্প খরচে ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে। বর্তমানে আমরা আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি করে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার আয় করছি। আমাদের শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল অর্থনীতির সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাভিদ শফিউল্লাহ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোস্তাফা কামাল বক্তব্য রাখেন

সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি সিডনির (ইউটিএস)একদল গবেষক একটি নতুন ডিভাইস তৈরি করেছেন যা রক্তের নমুনা থেকে ক্যান্সার কোষ শনাক্ত এবং বিশ্লেষণ করতে পারে। এই প্রযুক্তি ডাক্তারদের আক্রমণাত্মক বায়োপসি সার্জারি এড়াতে এবং চিকিৎসার অগ্রগতি নিরীক্ষণ করতে সক্ষম করে।
ক্যান্সার অসুস্থতায় অস্ট্রেলিয়ায় মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ। প্রতি বছর দেড় লাখেরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান মরণব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। যাদের ক্যান্সারের সন্দেহ রয়েছে, বিশেষ করে লিভার, কোলন বা কিডনির মতো অঙ্গে, তাদের রোগ নির্ণয়ের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।
ইউটিএস স্কুল অফ বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক মজিদ ওয়ারকিয়ানি বলেন, বায়োপসি করতে গেলে রোগীরা অস্বস্তি বোধ করেন। সেইসাথে অস্ত্রোপচার এবং মোটা অংকের খরচের কারণে জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। তবে যথাযথ চিকিৎসার জন্য সঠিক ক্যান্সার নির্ণয় গুরুত্বপূর্ণ।
অধ্যাপক মজিদ বলেন, ‘রক্তের নমুনায় টিউমার কোষের মূল্যায়নের মাধ্যমে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিস্যু বায়োপসি করার চেয়ে এই প্রযুক্তি অনেক কম আক্রমণাত্মক। এটি ডাক্তারদের বার বার পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসার প্রতি রোগীর প্রতিক্রিয়া জানা যায়।’
স্ট্যাটিক ড্রপলেট মাইক্রোফ্লুইডিক ডিভাইসটি দ্রুত সঞ্চালিত টিউমার কোষ শনাক্ত করতে সক্ষম। এটা প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়া টিউমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে। ডিভাইসটি সাধারণ রক্তের কোষ থেকে টিউমার কোষকে আলাদা করতে ক্যান্সারের একটি বিপাকীয় স্বাক্ষর ব্যবহার করে।
অধ্যাপক মজিদ সোমবার এক বিবৃতিতে জানান ‘১৯২০ এর দশকে অটো ওয়ারবার্গ আবিষ্কার করেছিলেন যে, ক্যান্সার কোষগুলো প্রচুর গ্লু­ুকোজ গ্রহণ করে এবং এরফলে আরও ল্যাকটেট উৎপাদন করে। আমাদের ডিভাইস পিএইচ সংবেদনশীল ফ্লুরোসেন্ট রঞ্জক ব্যবহার করে বর্ধিত ল্যাকটেটের জন্য একক কোষ নিরীক্ষণ করে যা কোষের চারপাশে অ্যাসিডিফিকেশন শনাক্ত করে।’
‘মাত্র এক মিলিলিটার রক্তে কোটি কোটি রক্ত কোষের মধ্যে একটি একক টিউমার কোষ থাকতে পারে। এটি খুঁজে বের করা খুবই কঠিন। নতুন শনাক্ত করণ প্রযুক্তিতে ৩৮,৪০০টি চেম্বার রয়েছে যা বিপাকীয়ভাবে সক্রিয় টিউমার কোষের সংখ্যা বিচ্ছিন্ন এবং শ্রেণীবদ্ধ করতে সক্ষম,’ তিনি বলেছেন।
একবার টিউমার কোষগুলোকে ডিভাইসের সাথে শনাক্ত করা হলে তারা জেনেটিক এবং আণবিক বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। যা ক্যান্সার নির্ণয় এবং শ্রেণী বিন্যাসে সহায়তা করতে এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসার পরিকল্পনাগুলো জানাতে পারে।
সঞ্চালনকারী টিউমার কোষগুলোও মেটাস্টেসিসের অগ্রদূত-যেখানে ক্যান্সার দূরবর্তী অঙ্গগুলোতে স্থানান্তরিত হয় – যা ক্যান্সার-সম্পর্কিত মৃত্যুর কারণ ৯০ শতাংশ। এই কোষগুলো  ক্যান্সার মেটাস্ট্যাসিসের জীব বিজ্ঞানের অন্তর্দৃষ্টি     প্রদান করতে পারে। যা নতুন চিকিৎসার বিকাশকে জানাতে পারে।
বিদ্যমান তরল বায়োপসি প্রযুক্তিগুলো সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল এবং দক্ষ অপারেটরদের উপর নির্ভর করে। ক্লিনিকাল সেটিংসে তাদের প্রয়োগও সীমিত করে।
এই নতুন প্রযুক্তিটি উচ্চ-সম্পদ সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষিত অপারেটরদের উপর নির্ভর না করে গবেষণা এবং ক্লিনিকাল ল্যাবগুলোতে একীভূতকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ডাক্তারদের একটি ব্যবহারিক এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে ক্যান্সার রোগ নির্ণয় ও পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম করবে।

 

ক্যান্সার শনাক্ত এবং চিকিৎসায় নয়া প্রযুক্তি উদ্ভাবন