22 Feb 2025, 10:33 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের নাগরিকত্বের পাশাপাশি আরও ১০১টি দেশের নাগরিক হতে পারবেন বাংলাদেশিরা। বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে এসআরও (স্টেটরি রেগুলেটরি অর্ডার) জারির প্রস্তাবে মন্ত্রিপরিষদ অনুমোদন দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

সচিব জানান, বাংলাদেশিরা ইউরোপসহ ৫৭টি দেশের নাগরিক হতে পারতেন। এখন আরও ৪৪টি নতুন দেশ যুক্ত হয়েছে। ফলে এখন বাংলাদেশিরা নিজ দেশের পাশাপাশি মোট ১০১টি দেশের নাগরিক হতে পারবেন।

নতুন ৪৪টি দেশের মধ্যে রয়েছে– আফ্রিকা মহাদেশের ১৯টি দেশ, দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ১২টি দেশ, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ১২টি দেশ ও ওশেনিয়া মহাদেশের একটি দেশ। দেশগুলো হলো- মিসর, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, আলজেরিয়া, সুদান, মরক্কো, ঘানা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, তিউনিসিয়া, সিয়েরা লিয়ন, লিবিয়া, কঙ্গো, লাইবেরিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ইরিত্রিয়া, গাম্বিয়া, বতসোয়ানা, মরিশাস, ব্রাজিল, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, সুরিনাম, আর্জেন্টিনা, পেরু, ইকুয়েডর, চিলি, উরুগুয়ে, গায়ানা, কিউবা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, হাইতি, বাহামা, জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ডমিনিকা, সেন্ট লুসিয়া, বার্বাডোস, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন, গ্রেনাডা, সেন্ট কিটস ও নেভিস, ফিজি।

এছাড়া সচিব আরও জানান, বাংলাদেশ থেকে ১১৩৫ জন সেনা কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে কাতার। এমন বিধান রেখে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে একটি চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

 

আরও ১০১টি দেশের নাগরিক হতে পারবেন বাংলাদেশিরা ; মন্ত্রীসভায় এসআরও অনুমোদন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কাতারে নিয়োগ পাবেন বাংলাদেশের ১ হাজার ১২৯ জন সেনাসদস্য। এ সংক্রান্ত একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে এরকম একটি চুক্তি রয়েছে এবং এর আওতায় পাঁচ হাজারের বেশি আমাদের সেনাবাহিনীর সদস্য সেখানে কাজ করেন। একইভাবে কাতারের সঙ্গেও আজকে একটি চুক্তি সই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার আওতায় এক হাজার ১২৯ জন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ওখানে (কাতারে) লিওনে বা ডেপুটেশনে (প্রেষণ) কাজ করবেন।

তিনি আরও বলেন, এ চুক্তির মেয়াদ হবে সাধারণত পাঁচ বছর। তবে এটি অটোমেটিক্যালি রিনিউ হবে।

 

 

কাতারে নিয়োগ পাবেন ১ হাজার ১২৯ সেনাসদস্য ; মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুশাসনই প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, সরকারি অফিসগুলোতে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৪তম বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ সমাপনী সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য সামনে নিয়েই আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করছে। তিনি (বঙ্গবন্ধু) নিজেকে প্রধানমন্ত্রী নন, জনগণের সেবক মনে করতেন। কিন্তু অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতায় এসে সব ধ্বংস করে দেয়।

সরকারপ্রধান বলেন, সামরিক শাসকরা ক্ষমতা দখল করলে দুর্নীতি বেশি হয়। কারণ জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হয় না। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত, সুশাসনই প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।

বক্তব্যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নবীন সরকারি কর্মকর্তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আজকের কর্মকর্তাই ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক। ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ আর নেই। তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নের ধারা পৌঁছেছে। যা নবীন কর্মকর্তাদের অব্যাহত রাখতে হবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকারের প্রণীত ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের কাজ করতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য এটির বাস্তবায়ন শুরু করেছে। আপনাদের মনে রাখতে হবে যে আমাদের সবসময় সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।

‘বাংলাদেশ এক সময় বিদেশি দেশগুলোর কাছে অবহেলিত ছিল। তাঁর সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে’—যোগ করেন তিনি।

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বই সংকটে। যুদ্ধ কতদিন চলবে, কেউ জানে না। তাই গ্যাস-বিদ্যুতসহ সবক্ষেত্রে সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে। সঞ্চয়ী হতে হবে।

এসময় সবাইকে উৎপাদন বাড়ানোর উপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আমাদের উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি অবস্থা মোকাবিলা করতে।

 

সুশাসন প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অতীতের মতো ভবিষ্যতেও আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী বনানীর ৫০-কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে আর্জেন্টিনার দূতাবাস উদ্বোধনীর অনুষ্ঠানে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো বলেন, আজ এ মাহেন্দ্রক্ষণে আমি বাংলাদেশ ও দেশের মানুষকে অভিনন্দন জানাই। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ঢাকায় দূতাবাস চালু করায় আর্জেন্টিনা সরকারকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালে ঢাকায় আবার দূতাবাস চালুর ঘোষণা দিয়েছিল আর্জেন্টিনা। সে কথা রাখতেই দুদিনের সফরে সোমবার সকাল ৮টায় ঢাকায় পৌঁছেছেন সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো। এসময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান।

বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার কোনো দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিস ছিল না। দিল্লির আর্জেন্টিনার দূতাবাস থেকেই ঢাকার সঙ্গে দেশটি সম্পর্ক বজায় রাখতো। একইভাবে আর্জেন্টিনায়ও বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিস নেই।

এক সময়ে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার একটি কূটনৈতিক মিশন ছিল। ১৯৭৪ সালে ঢাকায় আর্জেন্টিনার মিশন খোলা হয়। তবে, ১৯৭৮ সালে সে মিশনটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে দিল্লির আর্জেন্টিনার দূতাবাস থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে দেশটি। আর ১৯৯২ সালে সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং দূতবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আর্জেন্টিনা ফুটবলে বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন অব্যাহত থাকবে : আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আশাবাদ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস চালু করায় বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনা দুই দেশের জন্যই এটি আনন্দের বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বনানীতে আর্জেন্টিনা দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ দূতাবাস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আজ এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আর্জেন্টিনা বাংলাদেশে আজ তাদের দূতাবাস চালু করলো। দুই দেশের জন্যই এটি আনন্দের। পুনরায় বাংলাদেশে দূতাবাস চালু করার জন্য আমি আর্জেন্টিনা সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং আমি আন্তরিকভাবে একত্রে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বকাপ জয়ের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট এবং সে দেশের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। সে সময় থেকেই ইঙ্গিত ছিল, আশা ছিল যে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো এবং পুনরায় দূতাবাস চালু হবে। আপনারা যেমনটি কল্পনা করেন, এই বছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশ আইএমএফের সূচকে ভালো অবস্থান করে নিয়েছে, যা আর্জেন্টিনাকে এই দেশে দূতাবাস খুলতে আরও আগ্রহী করে তোলে।

 

 

 

ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস চালু ; দুই দেশের জন্যই এটি আনন্দের:  শাহরিয়ার আলম

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ৪৫ বছর পর ঢাকায় দূতাবাস খুলল লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। সোমবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর বনানীতে দূতাবাস উদ্বোধন করেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

স্বাধীনতার পরপর ১৯৭২ সালে আর্জেন্টিনার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে বাংলাদেশ। এরপর ঢাকায় দেশটির দূতাবাস খোলা হলেও ১৯৭৮ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়।

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও অন্যান্য সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে গতবছরই ঢাকায় দূতাবাস খোলার ঘোষণা দেয় আর্জেন্টিনা। মূলত কাতার বিশ্বকাপে মেসিদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানানোয় বাংলাদেশে পুনরায় দূতাবাস চালুর ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছিল দেশটি। মেসিদের নিয়ে বাংলাদেশি সমর্থকদের উচ্ছ্বাস আর্জেন্টিনার বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করে। এমনকি আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের টুইটারেও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করে।

দুদিনের সফরে আজই ঢাকায় আসেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো। এ সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান।

 

দীর্ঘ ৪৫ বছর পর ঢাকায় আবারও চালু হলো আর্জেন্টিনার দূতাবাস

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর জীবন মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনা এখন সমার্থক। এই উন্নয়নের গতিকে আরো বেগবান ও গতিময় করতে হবে। তবেই বিশ্বের বুকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত একটি দেশে রূপান্তর হবে।

ড. রাজ্জাক রোববার কলকাতার রোটারি সদন অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

আজ এখানে সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও অগ্রগতি নিয়েও  প্রচারণা চালাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এর অংশ হিসাবে কলকাতায় এটির আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যে কৌশল আমরা নিয়েছি, যেভাবে আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি, তাতে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।’

তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসে। সেই নির্বাচনে জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন করেছেন, যা সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছে।

সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সালে আমরা দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। সামাজিক ইনডেক্সগুলিতেও আমরা খুব ভালো ফল করেছি। আমাদের দারিদ্রতা অর্ধেক কমে ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হয়েছে। অতি দরিদ্র যেখানে ১৮ থেকে ১৯ শতাংশ ছিল, সেটা এখন ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অবকাঠামো, ব্রিজ, পদ্মা সেতু, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। ১০০টি ইকোনোমিক জোন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে শিল্প, কলকারখানা করা হচ্ছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।’

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের প্রসঙ্গে ড. রাজ্জাক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। পরম আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে। আমরা উভয় দেশই সব দিক থেকেই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। দুইদেশের মধ্যে এই সুসম্পর্ক আজীবন অটুট থাকবে।’

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, বিশেষ অতিথি হিসাবে সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছেন : কৃষিমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মনিরুজ্জামান মিল্টন প্রতিবেদনটি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে এই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

কমিটিতে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন শিক্ষককে রাখতে বলা হয়েছে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসককে ৩ দিনের মধ্যে এই কমিটি গঠন করতে বলা। পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একসঙ্গে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের করা কমিটির রিপোর্টও ১০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলেছেন আদালত। তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্ত দুইজনকে ক্যাম্পাসের রাখতে বলা হয়েছে। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে নির্যাতনের স্বীকার শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গাজী মো. মোহসীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে (ইবি) রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে জড়িতদের হাইকোর্টে তলব করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী মো. মোহসীন জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব,শিক্ষা সচিব,ইবির ভিসি,রেজিস্ট্রার,প্রক্টরসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন ও আইনজীবী আজগর হোসেন তুহিন। তখন আদালত আইনজীবীদের লিখিত আবেদন নিয়ে আসতে বলেন। ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের গণরুমে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে নির্যাতন করা হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

এ বিষয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্যাতনের শিকার ছাত্রী।

 

 

 

 

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নির্যাতনের তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : উত্তরের হিমেল হাওয়ার শুরুতেই বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি আসতে শুরু করে বাংলাদেশে। উপকূলীয় অঞ্চল খুলনা, পটুয়াখালী, বরগুনা, কক্সবাজার, সাতক্ষীরা এলাকার সামাজিক বনায়ন গুলোতে ডাহুক, তীরশুল, নলকাক, ভাড়ই, রাঙ্গাবনী, গাংচিল, রাতচড়া, হুটটিটি, হারগিলা, বালিহাঁস, সরালি কাস্তে, হুরহুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয় শীতের শুরু থেকে। যা চলে গ্রীস্মের আগ পর্যন্ত। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই সময়টাতে অপতৎপরতা বাড়ে চোরা শিকারীদের। এখনো এসব অঞ্চলে চলছে পাখি শিকারের মহোৎসব।

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিষটোপ কিংবা ফাঁদ পেতে অবাধে শিকার করা হচ্ছে অতিথি পাখি। এতে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাবসহ অতিথি পাখির আগমন দিন দিন কমে যাচ্ছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু পাখি শিকার চালিয়ে যাচ্ছে।

কুয়াকাটার আরজু বেগম জানান, তার বসতবাড়ির সাথে দেড় বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের গাছ লাগানো হয়েছে। সেখানে অতিথি পাখির আগমন হয় শীতের শুরুতে। প্রতিদিন বিকালে পাখিরা যখন দিন শেষে ফিরে আসে তখন এলাকার মানুষ ছাড়াও বাইরের এলাকা থেকে অনেকে দেখতে আসেন। সবাই মুগ্ধ হয়ে পাখিদের নীড়ে ফেরা দেখে। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু শিকারী রাতের আধারে এয়ারগান আর গুলতি দিয়ে পাখি শিকার করে। এজন্য গতবছর তার বাগান থেকে পাখি চলে গিয়েছিলো। এবছর রাতে তিনি পাহারাদেন। তবুও গভীর রাতে অনেকে তাকে ফাঁকি দিয়ে পাখি শিকার করে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানব কল্যাণ ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনির হোসেন বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে সামাজিক বনায়ন গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে হাজার হাজার অতিথি পাখি আশ্রয় নিয়েছে কিন্তু অসাধু কিছু শিকারি আমাদের ফাঁকি দিয়ে রাতের আধারে এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার চলছেই।

কক্সবাজারের পাখি প্রেমী সাইফুল বলেন, শীত মৌসুমে আমাদের দেশে আশ্রয় নেওয়া অতিথি পাখিদের কিছু অসাধু শিকারি রাতের আধারে ফাঁদ পেতে, গুলতি, ইয়ারগান ও দিনের বেলায় বিষ টোপ দিয়ে শিকার করছে। অতিথি পাখির আশ্রয়স্থলে প্রশাসনিক নজরদারির সাথে সাথে পাখি শিকার রোধে লিফলেট বিতরণ ও প্রচার প্রচারণা করলে অতিথি পাখি শিকার কমানো সম্ভব।

এবিষয়ে স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা নাম  পরিচয় প্রকাশে অনাগ্রহ দেখিয়ে বলেছেন,  বন্যপ্রাণী নিধন দন্ডনীয় অপরাধ৷ অতিথি পাখি শিকার রোধে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় সভা ও জনসচেতনতা বাড়ানো হয়েছে। সামাজিক বনায়নে পাখিদের আশ্রয়ের জন্য মাটির ভাড় বেঁধে বাসা তৈরি করা হয়েছে। কেউ যদি অতিথি পাখি শিকার করে তাকে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

শীতের শেষে দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় চলছে অতিথি পাখি নিধন  ; পরিবেশের জন্য হুমকি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদেশি অস্ত্র ও মোটরসাইকেল সহ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার উজানিসার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা  হলেন- উপজেলার সোনাইমুরি পতিশ এলাকার মরহুম লোকমান হোসেনের ছেলে ফিরোজ মিয়া (৩৪), একই এলাকার কবির হোসেনের ছেলে মোহন মিয়া (৩৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা পৌর এলাকার মরহুম আবু জাহেরের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (৩০)।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের কাছে খবর আসে, মোটরসাইকেলে করে তিন অস্ত্রধারী যুবক আসছে। এমন খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব হোসাইন ও এসআই দেলোয়ারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আগে থেকে তল্লাশি বসায়। পরে তাদেরকে তল্লাশি করে আমেরিকার তৈরি একটি বিদেশি অটোমেটিক পিস্তলসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। জব্দ করা হয় বিদেশি পিস্তলসহ তাদের মোটরসাইকেলটি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন জানান, তারা চিহ্নিত অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের ১৯এ ধারায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আমেরিকার তৈরি অস্ত্রসহ ৩ যুবক গ্রেফতার