অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে দেশের এক তৃতীয়াংশ সেনা ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন করেছে বেলারুশ। দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকার উদ্ধৃত করে রোববার (১৮ আগস্ট) এমন দাবি করেছে ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইনডিপেনডেন্ট।
গত ১৫ আগস্ট রাশিয়া টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো দাবি করেছেন, তিনি তার সেনাবাহিনীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্তে জড়ো করেছেন। ইউক্রেন সীমান্তে দেশটির আগে থেকেই মোতায়েন রাখা ১ লাখ ২০ হাজার সেনার সঙ্গে সম্প্রতি আরও বিপুলসংখ্যক সেনার সমাবেশ ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে লুকাশেঙ্কো বলেন, ইউক্রেনের আগ্রাসী নীতি দেখে আমরা কিছু নির্দিষ্ট পয়েন্টে আমাদের সেনা মোতায়েন করেছি। যেমনটা পুরো সীমান্তজুড়ে প্রয়োজন হয় যুদ্ধ বা প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে।
সেনাবাহিনীর ‘আলফা’ ও ‘আলমাজ’ নামে দুটি বিশেষ ইউনিট ইউক্রেনের সীমান্তে কাজ করছে বলেও লুকাশেঙ্কো জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী বর্তমানে বেলারুশ সীমান্তের দিকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে। কারণ তারা মনে করে, পুতিন বেলারুশের ভূখণ্ড থেকে আবারও আক্রমণ করবে।
ইউক্রেনের বাহিনীর এমন মনোভাবকে হুমকির কারণ হিসেবে বিবেচনা করেছে বেলারুশ। আর তাই বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে দেশটি। লুকাশেঙ্কো বলেন, সেখানে যা ছিল তা শক্তিশালী করার জন্য প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সেনাবাহিনী স্থানান্তর করতে বাধ্য হয়েছি।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ এই মিত্র আরও বলেন, ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে আমাদের সৈন্য অপসারণ করা মৃত্যুর সমান হবে। লুকাশেঙ্কো দাবি করেন, ইউক্রেন অতিরিক্ত বাহিনী প্রত্যাহার করে নিলে বেলারুশও অতিরিক্ত বাহিনী সরিয়ে নিতে প্রস্তুত আছে। তবে, সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনে রাশিয়া ও পুতিনকে পুরোপুরি সমর্থন দেওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
লুকাশেঙ্কো আরও জানান, বেলারুশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের ক্ষেত্রে সামরিক সহায়তা সরবরাহের জন্য রাশিয়াও তাদের সেনা মোতায়েন করবে।
Leave a Reply