অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরায়েরী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় তাদের যুদ্ধে ‘একা দাঁড়াতে’ প্রস্তুত রয়েছে। রাফায় হুমকিমূলক হামলা অব্যাহত রাখলে ওয়াশিংটন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর তিনি এমন মন্তব্য করেন। খবর এএফপি’র।
নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজা যুদ্ধে ‘আমাদেরকে যদি একা যুদ্ধ করতে হয়, তাহলে আমরা একাই যুদ্ধ চালিয়ে যাব।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তার আচরণে জোরালো আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে তিনি গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকবার মন্তব্য করেন।
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিএনএন’কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সতর্ক করার পর এটি ছিল তার সর্বশেষ মন্তব্য। সাক্ষাতকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েল গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ নগরীতে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হলে তিনি ইসরায়েলে কিছু মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবেন। জাতিসংঘ বলেছে, সেখানে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে।
নেতানিয়াহু মার্কিন হুমকির কথা উল্লেখ না করলেও ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সমাপ্তির কথা তুলে ধরে ইসরায়েলে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেওয়া বিভিন্ন মন্তব্যের ওপর জোর দেন। ওই সময় ‘আমরা অনেকের বিরুদ্ধে কম শক্তিশালী ছিলাম।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আজ আমরা অনেক বেশি শক্তিশালী। আমাদের শত্রুদের এবং যারা আমাদের ধ্বংস করতে চায় তাদের পরাজিত করার জন্য আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং ঐক্যবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করবো। কিন্তু বর্তমানে আমাদের নখের চেয়ে অনেক বেশি কিছু আছে। ইশ্বরের সাহায্যে সেই একই আত্মার শক্তি দিয়ে একসাথে আমরা জয়ী হবো।’
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপে গাজা যুদ্ধে অবিলম্বে কার্যকর প্রভাব ফেলবে বলে তারা ধারণা করছেন।
ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বৃহস্পতিবার রাতে দৃঢ়তার সাথে বলেন, তাদের দেশের সেনাবাহিনীর কাছে ‘রাফাতে আমাদের মিশন সম্পূর্ণ করার জন্য যথেষ্ট অস্ত্র রয়েছে।’
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার থেকে যুক্তরাষ্ট্র আমাদেরকে নজিরবিহীনভাবে সাহায্য করেছে।
তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে ‘আমাদের নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে এবং আমরা মার্কিন স্বার্থের প্রতি স্পর্শকাতর।’
এএফপি জানায়, ইসরায়েলে গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার মধ্যদিয়ে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। দেশটিতে হামাসের হামলায় ১,১৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এদের অধিকাংশ বেসামরিক নাগরিক।
এদিকে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৩৪,৯০৪ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
Leave a Reply