অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দেশজুড়ে এক সপ্তাহের অভিযান চালিয়ে আবাসন, শ্রম এবং নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে সাড়ে ১৯ হাজারের বেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ১৯ হাজার ৭১০ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সৌদিতে অবৈধভাবে বসবাস, শ্রম ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
বিবৃতিতে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১২ হাজার ৯৬১ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইনে ৪ হাজার ১৭৭ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘন করায় আরও ২ হাজার ৫৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া সৌদি আরবে অবৈধ উপায়ে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ৯৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ ইয়েমেনি, ৫৪ শতাংশ ইথিওপিয়ান এবং ৩ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি অবৈধভাবে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টার সময় আরও ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, একই সময়ে সৌদির আবাসন, সীমান্ত এবং কাজের বিধিবিধান লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন, আশ্রয় এবং নিয়োগে জড়িত থাকার দায়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে গ্রেপ্তারকৃত ৪৯ হাজার ৪০৭ জন আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে কেবল নারীই রয়েছেন ৩ হাজার ৬৫ জন।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৪০ হাজার ৩৯১ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ১৩ হাজার ৩৮৩ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৩ হাজার ১৬ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া প্রস্তুতি চলছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।
প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করছে।
Leave a Reply