30 Nov 2024, 07:37 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ হত্যা ও দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশের সম্পদের তথ্য চেয়ে ৭ দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।

সোমবার (২২ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে এক সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। সততা সংঘের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০৪ উপজেলার শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত এই সমাবেশে দুদক কমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার বলেন, ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলার রায় হয়েছে। আরও মামলা চলমান আছে। তার সম্পদের খোঁজে সাতটি দেশের সঙ্গে আমাদের পত্রালাপ হয়েছে।

আদালতের রায়ের পর দেশের বাইরে প্রদীপের আর কোনো সম্পদ আছে কি না সেটা জানতে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও কানাডার ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজ্যান্টস ইউনিটের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা।

আর কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশেষ পেশার সদস্যদের টার্গেট করে দুদক কোনো তদন্ত করে না। চাকরিজীবীদের বিষয়ে তদন্ত করা হয়, এর বাইরে সাধারণ মানুষ যারা দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেন তাদের বিষয়েও আমরা অনুসন্ধান করি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেই। কোনো বিশেষ শ্রেণি-পেশার মানুষকে টার্গেট করে দুদক তদন্ত করে না।

এক প্রশ্নের জবাবে আমলাদের দুর্নীতির বিষয়ে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেন, আমরা চাকরিজীবীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করি, মামলা করি। এর বাইরে ব্যবসায়ীসহ যারা অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তাদের বিষয়ে তদন্ত ও মামলা করে থাকি। সুতরাং সুনির্দিষ্টভাবে আমলাদের ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ চাকরিজীবীর মধ্যে আমলারাও আছেন।

এদিকে সততা সংঘের সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের শপথ নেন। প্রধান অতিথি দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেন, ছোটদের মস্তিষ্কে সততার বীজ বুনে সুশোভিতভাবে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য সবার আগে দরকার নিজেদের পরিশুদ্ধতার মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা।

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার প্রকাশ কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) মো. শহীদুল আলম, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী এতে বক্তব্য রাখেন।

সাবেক ওসি প্রদীপের সম্পদের তথ্য চেয়ে ৭ দেশে চিঠি পাঠিয়েছে দূদক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় সোমবার (২২ মে) আবারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ঋণ সীমা বাড়ানো না হলো আগামী ১ জুন থেকেই অর্থ সংকটে পড়বে সরকার।

ঋণ সীমা না বাড়লে জুনের শুরু থেকেই সরকারি বেতন, বিলসহ অন্যান্য অর্থ দিতে পারবে না দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর মতো যুক্তরাষ্ট্রেও ঋণ সীমা নির্ধারণ করা আছে। এর বাইরে দেশটির সরকার ঋণ নিতে পারে না। স্বাস্থ্য খাত, সামরিক খাতসহ সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চালানোর জন্য মার্কিন সরকার ঋণ নিয়ে থাকে।

বর্তমানে দেশটির সরকারের ঋণ সীমা হলো ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। যে সীমায় গত জানুয়ারিতেই পৌঁছে গেছে বাইডেন সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ঋণ সীমা বাড়ানোর জন্য কয়েকদিন ধরেই দৌড়ঝাঁপ করছে। কিন্তু এটি আটকে রেখেছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির আইন প্রণেতারা। বর্তমানে দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রিপাবলিকান পার্টির হাতে। আর যেহেতু ঋণ সীমা বাড়াতে কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে। ফলে বিষয়টি ঝুলে গেছে।

এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো কংগ্রেসের কাছে চিঠি লিখেছেন অর্থমন্ত্রী জানেত ইয়েলেন। তৃতীয় চিঠিতে তিনি বলেছেন, জুনের শুরু থেকে সরকারি বেতনসহ অন্যান্য বিল দিতে হয়তবা সক্ষম হবেন না তারা। এ কারণে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

যদি ১ জুনের মধ্যে ঋণ সীমা বাড়ানো না যায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো সরকার খেলাপি হবে।

এদিকে এ বিষয়টির ওপর বেশি সময় দিতে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার অস্ট্রেলিয়া সফর স্থগিত করেন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে কোয়াড নেতাদের সঙ্গে বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, সোমবার (২২ মে) ঋণ সীমা নিয়ে কংগ্রেসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

অর্থমন্ত্রী জানেত ইয়েলেন তার আগের চিঠিতে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যদি সরকার একবার খেলাপি হয় তাহলে ‘অর্থনীতির ওপর এর মারাত্মক’ প্রভাব পড়বে। বিশেষজ্ঞরাও জানিয়েছেন, যদি কোনো কথায় মার্কিন সরকার খেলাপি হয় তাহলে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয় এর প্রভাব পড়বে পুরো বিশ্বে— যুক্তরাষ্ট্রে অসংখ্য মানুষ চাকরি হারাবেন, দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখে দেবে।

এমন আশঙ্কার মধ্যে অবশ্য আশার বাণী শুনিয়েছেন স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে তাদের ‘ইতিবাচক’ আলোচনা হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স

জুনের শুরুতেই অর্থ সংকটে পড়তে যাচ্ছে মার্কিন সরকার