অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় স্থলযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ফিলিস্তিনের হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় ইসরায়েল ১৯ দিন ধরে বোমা হামলা চালিয়ে আসছে। গাজায় চলছে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। এই হামলা বন্ধে ব্যাপক আন্তর্জাতিক আহ্বান সত্ত্বেও বুধবার এক টেলিভিশন ভাষণে নেতানিয়াহু এই কথা বলেন।
হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিকভাবে বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এর প্রেক্ষিতে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল এখনও শোকার্ত এবং ক্ষুব্ধ। আমরা আমাদের অস্তিত্বের জন্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
কিন্তু ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণের প্রেক্ষিতে গাজায় তীব্র মানবিক সংকটের কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্যান্য বিদেশি নেতৃবৃন্দ গাজায় নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার এবং যুদ্ধের নিয়মনীতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
বাইডেন বুধবার বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে সুপারিশ করছেন গাজায় স্থলযুদ্ধের আগে ইসরায়েলের জিম্মিদের বের করে আনতে হবে।
তিনি বলেন, এটা তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমি তা চাচ্ছি না।
এদিকে বাইডেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্যে আরও অর্থ বরাদ্দে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ সতর্ক করে বলেছেন, বড়ো ধরনের হামলার কারণে বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকি আরও বাড়বে যা হবে মারাত্মক ভুল।
হামাসের ওপর নারকীয় গোলাবর্ষণ এবং হাজার হাজার যোদ্ধাকে হত্যার জন্যে গর্বিত নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে নির্মূলে এবং বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে কখন স্থলযুদ্ধ শুরু করা হবে তা তার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা এবং সামরিক বাহিনী নির্ধারণ করবে।
তিনি বলেন, কখন কীভাবে স্থল অভিযান শুরু হবে তা আমি বলব না।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে ছয় হাজার পাঁচশ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুই হাজারেরও বেশি নারী ও শিশু রয়েছে। আহত হয়েছে তিন হাজারেরও বেশি শিশু।