23 Feb 2025, 10:16 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশ ও সংস্থা বিবৃতি দিচ্ছে। তবে সেগুলো আমলে নিচ্ছে না সরকার। এ ধরনের মন্তব্য বা বিবৃতি সরকারের জন্য বাধার কারণ নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) স্থানীয় এক হোটেলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের সুরক্ষার জায়গাটি কোথায়? বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান, এটি এত ঠুনকো নয়….। আমাদের সবার দায়িত্ববান হওয়ার প্রয়োজন আছে এবং যেটাই হোক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে শক্ত হাতে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে সামনের দিনগুলোতে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এ ধরনের মন্তব্য, বিবৃতি বা অন্য কোনও কিছু– এগুলো কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি এবং হবেও না।’

সবারই একটি চ্যালেঞ্জ আছে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে, এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে দেশগুলো বিবৃতি দেয়, সেখানে আইন করা হয়েছে যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে একটি গাড়ির পথরোধ করে দাবি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হলে সাত বছরের জেল হবে। সে দেশেও আইন পরিবর্তনের জন্য মানুষ রাস্তায় নামছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিবৃতি দেখিনি। এটির টেকনিক্যাল বিষয়টি দেখার দায়িত্ব তথ্য মন্ত্রণালয়ের। আর আইনগত বিষয়টি দেখার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের যে অর্জন, শুধু অর্থনীতিতেই নয়, দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রেও আমাদের যে অর্জন– পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে সেটি নেই। সে জায়গা থেকে বলতে চাই, এ ধরনের ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তিতে ন্যূনতম আঁচড়ও পড়বে না।’

সাংবাদিক নির্যাতন নিয়ে বিদেশি বিবৃতি ‘আমলে’ নিচ্ছে না সরকার : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ‘মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে দৈনিক প্রথম আলোর মিথ্যাচার এবং ষড়যন্ত্রর প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে যুব মহিলা লীগ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমান্ডিস্থ রাসেল স্কয়ারের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারানা হালিম ও মোহাম্মদ এ আরাফাত, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজী সারোয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি বক্তব্য রাখেন।
স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর সমালোচিত সংবাদ শিরোনাম ও ছবিকে ‘দুরভিসন্ধিমুলক, ও তথ্য ষড়যন্ত্র’ অভিহিত করে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের আজকের অবস্থান হচ্ছে এই ধরনের দুরভিসন্ধি ও ষড়যন্ত্রমুলক তথ্য ষড়যন্ত্র করে যারা জাতিকে উস্কে দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, এই দিবস এমনি আসেনি। ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়েছে, ২ লক্ষ্য মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছে, ১ কোটি লোক ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছে। তিনকোটি মানুষ গৃহহীন ছিলো।’

 

প্রথম আলোর মিথ্যাচার এবং ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে যুব মহিলা লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাজধানীর রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে তাকে। এসময় তাকে রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়।

এ মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার। অপরদিকে মামলায় জামিন চেয়ে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার রাত ১১টার দিকে অ্যাডভোকেট আবদুল মশিউর মালেক নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

তবে রাজধানীর তেজগাঁও থানার মামলায় এ পর্যন্ত কোনো আবেদন জমা হয়নি। বুধবার সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।

প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায়  মামলা হয়েছে।
মামলায় মতিউর রহমান ছাড়াও প্রথম আলোর সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস ও তার ক্যামেরাম্যানকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
বুধবার দিবাগত রাতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক বাদি হয়ে এ মামলা করেন।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসান জানিয়েছেন, রমনা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আবু আনছারকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আইনজীবী আবদুল মালেক সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক সাংবাদিক শামসুজ্জামান ও ক্যামেরাম্যানের বিরুদ্ধে আমি বাদি হয়ে একটি এজাহার করেছি।’
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, বুধবার  দিবাগত  রাত ১১টা ১০ মিনিটে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তরা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলাটি করা হয়।
এরআগে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে স্বাধীনতা দিবসে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনে ঢাকার কল্যাণপুরের বাসিন্দা সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া বাদি হয়ে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় স্বাধীনতা নিয়ে জনমনে ‘অস্থিতিশীল ও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি’ তৈরি করার অভিযোগ আনা হয়।

 

প্রথম আলোর সম্পাদকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  স্বাধীনতা দিবসে করা একটি প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া (৩৬) নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় বাদী কিবরিয়া নিজেকে রাজধানীর কল্যাণপুরের বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন। তার স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে নাটোর সদর উপজেলায়।

এজাহারে যা আছে :  মামলার বাদী অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১টা ৩২ মিনিটের দিকে তিনি ব্যক্তিগত কাজে ফার্মগেটের আলরাজী হাসপাতালের সামনে অবস্থান করার সময় মোবাইল ফোনে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেখছিলেন। এ সময় দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের একটি ছবিসহ সংবাদ দেখেন। সংবাদটি দৈনিক প্রথম আলো তাদের ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করে।

সংবাদটিতে দেখা যায়, একটি শিশু ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবেদকের দাবি সেই শিশুটির নাম জাকির হোসেন। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, শিশু জাকির হোসেন বলে, ‌‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’ সামাজিক মাধ্যমে এ সংক্রান্ত পোস্টটি ভাইরাল হয়।

সংবাদটি দেশ-বিদেশে অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষ তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করেন। এই ঘটনায় মহান স্বাধীনতা দিবসে দেশের গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে জনগণসহ বহির্বিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। মহান স্বাধীনতা দিবসে এই সংবাদ প্রকাশ করায় বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ও স্বাধীনতার অর্জন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

পরবর্তীতে ৭১ টিভিসহ তাদের অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, প্রথম আলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা পরিচয় ও মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদটি পরিবেশন করেছে। যে শিশুটির কথা প্রথম আলোর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে তার সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। নাম পরিচয় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পত্রিকায় বলা হয় শিশুটির নাম জাকির হোসেন, কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায় ওই শিশুর নাম সবুজ আহমেদ। তার বাড়ি সাভার থানার কুরগাঁও পাড়ায়, তার বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি, মা মুন্নী বেগমের তিন সন্তানের মধ্যে মেজো সন্তান সবুজ। প্রথম আলোর তথ্যে বলা হয়েছে, সে দিনমজুর।

সাত বছরের শিশু সবুজ আহমেদ প্রথম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে এবং স্কুল শেষে মাঝে মধ্যে ফুল বিক্রি করে। সাংবাদিক শামসুজ্জামান-এর প্রস্তুতকৃত প্রথম আলোর সংবাদে বলা হয়েছে, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইল এর স্বাধীনতা লাগব’। প্রকৃতপক্ষে ওই শিশুটি এ ধরনের কোনো কথা বলেনি। শিশুটি জানিয়েছে, প্রথম আলোর সাংবাদিক তার হাতে ১০ টাকা দিয়ে এই ছবি তুলেছে।

এতে প্রমাণিত হয় স্বাধীনতা দিবসে দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং বাংলাদেশের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন উদ্দেশ্যে একটি অশুভ চক্র দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই মিথ্যা সংবাদ তৈরি ও পরিবেশন করে অনলাইন ও সামাজিক মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে দেশের অভ্যন্তরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

মহান স্বাধীনতা দিবসে এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ এবং বিশ্বব্যাপী প্রচার করায় বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বাদী ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।

এদিকে মামলার বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো.ইমরান হোসেন মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

 

বাংলাদেশের উন্নয়ন ওদের চোখে পড়েনা ; প্রথম আলো দেশ ও জাতির চিহৃত শত্রু

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বুধবার (২২ মার্চ) অনলাইন নিউজ পোর্টাল, অনলাইন বা আইপি (ইন্টারনেট প্রোটোকল) টেলিভিশন ও অনলাইন রেডিওর নিবন্ধন প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু’র সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ বৈঠকে প্রাথমিক সংসদীয় কমিটি এ পরামর্শ দেয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটির সদস্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বেগম সিমিন হোসেন (রিমি), মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, মো. মুরাদ হাসান ও খ. মমতা হেনা লাভলী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনাকারী আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বৈধভাবে নিবন্ধিত হওয়ার পর, তাদের কার্যক্রম চালাতে হবে বলেও সুপারিশ করে কমিটি।

এতে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে প্রদর্শিত অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে সংগ্রহ করে সারাদেশে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কমিটি বাংলাদেশ বেতারের অর্গানোগ্রামের নথি দ্রুত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছে। সংসদীয় কমিটির ১১তম বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়।

কমিটি দ্য সেন্সরশিপ অফ ফিল্মস অ্যাক্ট, ১৯৬৩ (সংশোধিত ২০০৬) সময়োপযোগী করে তোলার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন’ প্রণয়নের ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুুন কবির খন্দকার, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক (ডিজি), প্রেস ইনফরমেশন বিভাগের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ভারগ্রাপ্ত মহাপরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ, মন্ত্রণালয়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনে কার্যকর পদক্ষেপের পরামর্শ দিলেন সংসদীয় কমিটি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, ফেক নিউজ সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। সত্য ও মিথ্যার মধ্যে ব্যবধান দূর করতে হবে। ভুয়া খবর গণতন্ত্রকে বিব্রত করে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।

বুধবার (২২ মার্চ) ‘রামনাথ গোয়েঙ্কা এক্সিলেন্স ইন জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নিজের ভাষণে বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন তিনি। খবর সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। বিভিন্ন অপরাধমূলক মামলায় যেভাবে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ হয় তা নিয়েও প্রচ্ছন্ন বার্তা দেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, কোর্ট রায় দেওয়ার আগেই মিডিয়া ঠিক করে ফেলে দোষী কে!

প্রধান বিচারপতি বলেন, নিরপরাধদের অধিকার লঙ্ঘন না করে জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছে দেওয়া মিডিয়ার কাজ। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা সত্যের আলোকবর্তিকা এবং এটি গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সময় সাংবাদিকদের তাদের প্রতিবেদনে নির্ভুলতা, নিরপেক্ষতা এবং নির্ভীকতা বজায় রাখতে হবে।

ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, গণতন্ত্রের প্রাণবন্ততা আপস হয়ে যায় যখন সংবাদপত্রকে তার কাজে বাধা দেওয়া হয়। ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেন, তাই সংবাদপত্রকে স্বাধীন থাকতে হবে এবং সাংবাদিকের পদ্ধতির সঙ্গে মতানৈক্য যেন ঘৃণা বা সহিংসতায় পরিণত না হয়।

 

ভুয়া খবর গণতন্ত্রকে বিব্রত করে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে: ভারতের প্রধান বিচারপতি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিবিসি তার কর্মীদেরকে বিশেষ ব্যবসায়িক প্রয়োজন না হলে চীনা মালিকানাধীন ভিডিও অ্যাপ ‘টিকটক’ ডিলিট করে দিতে বলেছে। বিবিসির অফিসিয়াল টিকটক অ্যাকাউন্টে বর্তমানে ৪৪ লাখ ফলোয়ার রয়েছে।

রবিবার কর্মীদেরকে পাঠানো এক বার্তায় বিবিসি বলেছে, যুক্তিসঙ্গত ব্যবসায়িক কারণ না থাকলে আমরা বিবিসি কর্পোরেট ডিভাইসে টিকটক ইনস্টল করার পরামর্শ দেই না। ব্যবসায়িক দরকার না থাকলে টিকটক ডিলিট করে দিতে হবে।

সংবাদমাধ্যমটি সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, টিকটক ব্যবহার না করার বিষয়টি আমাদের সিস্টেম, ডেটা এবং মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টিকেই গুরুত্ব দেয়। যদিও কর্পোরেট ডিভাইসগুলোতে সম্পাদকীয় ও মার্কেটিংয়ের প্রয়োজনে এখনো টিকটক ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে, তবে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করছি।

পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলো চীনের দ্বারা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের ভয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করছে। এর ধারাবাহিকতায় ফার্ম বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন অ্যাপটি ব্যবহারের বিষয়ে কঠোরতা অবলম্বন করছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুক্তরাজ্য গত বৃহস্পতিবার সরকারি ডিভাইসে টিকটকের ওপর নিরাপত্তা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। খবর- এএফপি।

বিবিসির সকল কর্মীর টিকটক ডিলিট করার নির্দেশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বর্তমান দ্রুততার প্রতিযোগিতার মধ্যে ঠিক সাংবাদিকতা, ঠিক সংবাদ পরিবেশন এবং একটি সংবাদপত্রকে গণমানুষের সংবাদপত্র হিসেবে গড়ে তোলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’

রবিবার (১৯ মার্চ) রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার নবরূপে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকা বা যেকোনও গণমাধ্যম শুধু সংবাদ পরিবেশন কিংবা বিনোদনের জন্য নয়। একটি পত্রিকা মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়, অনুন্মোচিত বিষয়গুলোকে উন্মোচিত করতে পারে। সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার যেদিকে দৃষ্টিপাত করছে না, সেদিকে দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে এবং করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিতে পারে।’

একটি সংবাদপত্র শিশু-কিশোর, তরুণ ও যুব সমাজের মনন তৈরিতে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমার ছেলেবেলায় অনেক দৈনিক পত্রিকায় ছোটদের পাতা থাকতো, সেখানে আমিও লিখেছি, সেটি অনেক আনন্দের। এখন রূপচর্চার পাতা আছে, রান্নাবান্নার পাতা আছে কিন্তু ছোটদের পাতা হারিয়ে গেছে।’

সম্প্রচারমন্ত্রী এ সময় পত্রিকায় সমাজের অনুন্মোচিত বিষয়গুলো নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করাকে উৎসাহ দিয়ে বলেন, ‘রাস্তায় যে পাগলটা বিড়বিড় করে কথা আওড়ায়, তার পাগল হওয়ার পেছনে একটা গল্প আছে। কিন্তু কেউ তা শোনে না, শোনার প্রয়োজনও মনে করে না। যে মানুষটি নদীভাঙনে কিংবা অন্য কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে শহরের ফুটপাতে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের স্বপ্নের কথা কেউ লেখে না। যে মেয়েটি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হয়তো নিষিদ্ধ কোনও জায়গায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে, তার বেদনার কথা কেউ ভাবে না, লেখে না। সেগুলোও উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন।’

দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা এবং ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

 

প্রতিযোগিতার মধ্যে গণমানুষের সংবাদপত্র গড়ে তোলা বড় চ্যালেঞ্জ : তথ্যমন্ত্রী