03 Dec 2023, 10:15 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শাহজাহান ওমর অনুপ্রবেশকারী নয়, কেউ বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসলে গণতান্ত্রিক ভাবে কিছু বলার নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে অনেক বাধা বিপত্তি আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, হরতাল দিয়েও বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাচনকে বাধা দেওয়া যায়নি। কিছু কিছু দল নির্বাচন থেকে দূরে থাকলেও জনগণ নির্বাচনমুখী। অনেক অপচেষ্টার পরও বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপির এক দফা গভীর গর্তে পড়েছে, তাদের আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে, এতে বিএনপির নেতাকর্মীরাও হতাশ। বিএনপির ডাকে নেতাকর্মীরা ভবিষ্যতে আন্দোলনের মাঠে নামবে কি না এটা সন্দেহ। বিএনপির সর্বনাশা ভুল নীতির জন্য দলে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বের ওপর হতাশ হয়ে অনেকেই নির্বাচন করেছেন। তৃণমূল বিএনপির সবাই বিএনপির লোক।

তিনি আরও বলেন, ২৯টি দল নির্বাচনমুখী, বিএনপিসহ ১৪/১৫ টি দল নির্বাচনের বাইরে। নির্বাচনে জনগণের উৎসব উদ্দীপনা দেখে মনে হচ্ছে বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি আসবে।

কাদের বলেন, বিএনপির ষড়যন্ত্রের কালো হাত জনগণই ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ভেঙে দেবে। বিএনপির কেউ যদি দল পরিবর্তন করলে সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে কাউকে ব্ল্যাকমেইলিং করে নির্বাচনে আনা হচ্ছে না।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে কাদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভিওয়েট প্রার্থীকে ফেলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে গেলে সেটাকে বাঁধা দেওয়া গণতন্ত্র নয়। স্বতন্ত্র হোক আর যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন করুক, জনগণের নির্বাচনে ভোট দিয়ে যাচাই হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতকে জড়িয়ে প্রোপাগাণ্ডা পাকিস্তান আমল থেকে শুরু হয়েছে। নির্বাচনের আসলে ভারত আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে প্রোপাগাণ্ডা হয় এটা নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়। নির্বাচন কমিশন আইনগত সম্পূর্ণ স্বাধীন। স্বাধীনভাবে সব ব্যবস্থা তারা নিতে পারে। আইআরআই এর সমীক্ষা বলেছে ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনার পক্ষ। বিএনপির ভুল রাজনীতির কারণে তারা জনসমর্থন হারিয়েছে। শেখ হাসিনার সব সিদ্ধান্তের প্রতি দলের নেতাকর্মীরা আস্থাশীল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পুলিশ হত্যাসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে বিএনপির যেসব নেতা জেলে রয়েছে তারা দায় এড়াতে পারবে না। তাদের বিচার হচ্ছে। একইভাবে সামনের দিনগুলোতে নির্বাচন সংক্রান্ত কোথাও কোনো সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা হলে, সব কিছুই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।

শাহজাহান ওমর অনুপ্রবেশকারী নয় ; দল ছেড়ে দলে এসেছেন : ওবায়দুল কাদের

রাজনীতি

আন্তর্জাতিক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান ব্যয়বৃদ্ধি মেটাতে একটি সমন্বিত সর্বজনীন অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং কপ২৮ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে কপ২৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে ‘রাইজিং উইথ দ্য টাইড: ট্র্যাকিং রিফর্মস ইন ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার ফর এক্সিলারেটেড ডেভেলপমেন্ট-পজিটিভ ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় পৃথিবী গ্রহটিকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তিনি এ আহ্বান জানান।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম এবং ভালনারেবল ২০ দেশের জোটের (সিভিএফ-ভি ২০) বর্তমান চেয়ারম্যান ঘানার রাষ্ট্রপতি নানা আকুফো-আডোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন ফোরামের পরবর্তী চেয়ারম্যান বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে, ফোরামের থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ এবং প্রথম মহাসচিব মোহাম্মদ নাশিদ।

ঘানার রাষ্ট্রপতি এই ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বের দুই মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তথ্যমন্ত্রী পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সিভিএফ-ভি ২০ ফোরমে দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ুঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো সহনীয়তা ও সক্ষমতায় সমৃদ্ধ হয়েছে। সেই সময়ে বৈশ্বিক জয়েন্ট মাল্টি ডোনার ফান্ড গঠন এবং দেশে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ প্রণীত হয়েছে।

জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’র অধীনেই প্রতি বছর দেশের প্রয়োজন ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। একই সঙ্গে মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশ উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ নয়, বরং এর অসহায় শিকার। তবুও বঙ্গবন্ধুকন্যার পরিকল্পনামাফিক ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ ৪০ শতাংশ সবুজ শক্তি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে চলেছে।

মন্ত্রী পরে কপ২৮ প্রেসিডেন্সি গোলটেবিল বৈঠকে ‘অ্যাক্সিলারেটিং ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ বৈঠকেও অংশ নেন।

জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল নির্বাচনে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) লন্ডনে জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত বিশেষায়িত এ এজেন্সির ৩৩ তম অধিবেশনে ৪০ সদস্যের নতুন আইএমও কাউন্সিল নির্বাচিত হয়।

এবারের ‘সি’ ক্যাটাগরির কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচনে ২৫ টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ১৬৮টি বৈধ ভোটের মধ্যে বাংলাদেশ ১২৮টি ভোট পেয়ে ১৬তম হয়ে নির্বাচিত হয়।

জানা যায়, আন্তর্জাতিক শিপিং পরিষেবা প্রদানে সর্বাধিক আগ্রহী এমন দশটি দেশ ‘এ’ ক্যাটাগরিতে, আন্তর্জাতিক সমুদ্রবাহিত বাণিজ্যে সর্বাধিক আগ্রহী এমন দশটি দেশ ‘বি’ ক্যাটাগরিতে এবং ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত নয় অথচ যাদের সামুদ্রিক পরিবহন বা নেভিগেশনে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে এমন ২০টি দেশ ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়।

 

এবারের নির্বাচনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথম থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এ অর্জন বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান এবং বৈশ্বিক মেরিটাইম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক সমর্থনের একটি প্রমাণ। এ বছরের জুনে নিরাপদ জাহাজ পুনর্ব্যবহার সংক্রান্ত হংকং কনভেনশনে বাংলাদেশের অনুসমর্থন যা আন্তর্জাতিক মেরিটাইম মানদন্ড বজায় রাখতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার প্রতিফলিত করেছে। তা এই নির্বাচনে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। এ নির্বাচন মেরিটাইম সেক্টরকে সুগঠিত ও সুশৃংখল এবং সংগঠিত করবে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ পরিচালনা এবং জাহাজ পুনর্ব্যবহার সেক্টরে দক্ষতা বৃদ্ধি করে বৈশ্বিক খ্যাতি অর্জন করবে।

জানা যায়, আইএমও জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত সর্বোচ্চ বিশেষায়িত সংস্থা। এটি শিপিং সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং সামুদ্রিক ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী কাজ করে। আইএমও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সহায়তা করে। এটি বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্প ও সরকারের সকল নিয়ন্ত্রক, আর্থিক, আইনগত ও কারিগরি সহযোগিতার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১৭৫ টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি মর্যাদাপূর্ণ সংস্থা। আইএমওর হেডকোয়ার্টার লন্ডনে অবস্থিত। নৌপরিবহন অধিদপ্তর বাংলাদেশের আইএমও’র ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

বাংলাদেশ আইএমওর কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত

হিজবুল্লাহ নেতা শেখ আলী দামুশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ বলেছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলকে কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে দেয়া হবে না। সংগঠনটি একইসাথে বলেছে, আমেরিকার নির্দেশেই ইসরাইল আবার গাজার ওপর আগ্রাসন শুরু করেছে।

হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ আলী দামুশ বলেন, “৭ অক্টোবর ইসরাইল আগ্রাসন শুরু করার পর গাজা যুদ্ধ আমেরিকার হত্যাযজ্ঞ হয়ে উঠেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বক্তব্য ও নানা ঘটনা থেকে এই সত্য ফুটে ওঠে। ওয়াশিংটন শুধুমাত্র ইসরাইলকে সহযোগিতা করছে না বরং তারাই এই যুদ্ধের সব সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী।”

গতকাল রাজধানী বৈরুতে জুমা নামাজের খুতবায় শেখ আলী দামুশ এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, দখলদার ইসরাইল এজেন্ডা বাস্তবায়নে আমেরিকার হাতের গুটি ছাড়া আর কিছু নয়। শেখ দামুশ বলেন, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা না করার কথা বলে আমেরিকা বিশ্ব জনমতকে নিজের পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু তারা কাউকে বোকা বানাতে পারবে না। তাদের এসব বক্তব্য চলমান এই হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের দায় থেকেও মুক্তি দিতে পারবে না।

দখলদার ইসরাইলকে গাজায় কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে দেবে না : হিজবুল্লাহ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যুদ্ধবিরতির পর গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৪০ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আজ (শনিবার) আরও আগে জানিয়েছে, গাজায় গতকাল থেকে এ পর্যন্ত ২৪০ জন ফিলিস্তিনি শহীদ এবং আরও শত শত আহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির পর অব্যাহত রয়েছে এবং এরইমধ্যে আরও অনেক ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন।

আজ গাজার বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিবিমান ও কামানের সাহায্যে হামলা হয়েছে। খান ইউনিস ও রাফাহ এলাকায় জঙ্গিবিমান থেকে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া, দেইর আল-বালাহ উপকূলীয় এলাকায় নৌযান থেকে হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনী উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আশেপাশের এলাকাগুলোতে ফসফরাস বোমা নিক্ষেপ করেছে।

এদিকে, ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র জিহাদ ত্বহা বলেছেন, নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির আলোচনা সফল হতে দেয়নি কারণ গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি মানেই নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তি, এমনকি তাকে কারাগারেও যেতে হতে পারে। ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনকে ধ্বংস এবং বিনা শর্তে ইসরাইলি বন্দীদেরকে মুক্ত করার লক্ষ্য ঘোষণা করেছিল নেতানিয়াহু। কিন্তু সে তার লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ইসরাইলি কারাগার থেকে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে তিন জন ইসরাইলি বন্দীর মরদেহ ও সাতজন জীবিত ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ইসরাইল তিন বন্দীর লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ঐ তিন ইসরাইলি গাজায় ইসরাইলেরই বর্বর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে।

৭ অক্টোবর থেকে ৪৭ দিন যুদ্ধের পর গত ২৪ নভেম্বর প্রথম চারদিনের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরে ওই সাময়িক যুদ্ধবিরতি আরো তিনদিন বাড়ানো হয়। এটির মেয়াদ আরো বাড়ানোর বিষয়ে নিবিড় আলোচনা চলার মধ্যেই গতকাল (শুক্রবার) সকাল থেকে ইসরাইল বিমান হামলা শুরু করলে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায়। এতে কাতার হতাশা প্রকাশ করে বলেছিল, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলতে থাকা অবস্থায় ইসরাইলের বিমান হামলা শুরু করা উচিত হয়নি।

 

 

 

দু’দিনে অন্তত ২৪০ ফিলিস্তিনি শহীদ ; যুদ্ধবিরতি না হওয়ার কারণ জানাল হামাস

বিশ্ব জরবায়ু কপ২৮ সম্মেলনে যোগ দিতে দুবাইতে বিশ্ব নেতারা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার তিনগুণ বাড়ানোর বিষয়ে সমর্থন জানাতে রোববার আলোচনা করবেন বিশ্ব নেতারা। ইতিমধ্যে প্রস্তাবে চূড়ান্ত সমর্থন জানাতে প্রস্তুত ১১০টির বেশি দেশের নেতারা। দুবাইতে অনুষ্ঠিত কপ-২৮ সম্মেলনে এই চুক্তিটি বৈশ্বিকভাবে পাস হতে যাচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

চুক্তিটিকে বাস্তবায়নের জন্য এবারের সম্মেলনে বিশেষভাবে জোর দিয়েছে জাতিসংঘ। চলতি দশকে জলবায়ু পরিবর্তন এড়িয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কপ-২৮ এর আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাত এই প্রতিশ্রুতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন বৃহস্পতিবার নবায়নযোগ্য অঙ্গীকারের বিষয়ে কপ-২৮ শীর্ষ সম্মেলনে বলেন, ‘১১০টির বেশি দেশ ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছে। আমি এখন আমাদের সকলকে এই উদ্দেশ বাস্তবায়ন করতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

সরকার ও সংস্থাগুলো লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বড় অংকের বিনিয়োগ জড়ো করবে কিনা তা একটি খোলা প্রশ্ন। সৌর ও বায়ুর মতো নবায়নযোগ্য শক্তির স্থাপনা বিশ্বব্যাপী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান ব্যয়, শ্রমের সীমাবদ্ধতা ও সাপ্লাই চেইনের সমস্যার কারণে নানাবিদ প্রকল্পে দেরি হওয়ার পাশাপাশি কিছু কিছু বাতিল হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিনিয়োগকারীদেরও ব্যয় করতে হচ্ছে শত শত কোটি ডলার।

জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের চুক্তিটি চূড়ান্ত করার জন্য উপস্থিত প্রায় ২০০টি দেশের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন। যদিও চীন ও ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিকে তিনগুণ করার জন্য সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে তবে কেউই নিশ্চিত করেনি যে তারা সামগ্রিক প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করবে।

ইতিমধ্যে বোর্ডে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কানাডা, চিলি এবং বার্বাডোস।

নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার তিনগুণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতির একটি খসড়া পেয়েছে রয়টার্স। সেখানে কয়লা শক্তির ব্যবহার হ্রাস ও নতুন করে কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহে অর্থায়ন বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক এমবারের বিশ্লেষণ অনুসারে, বায়ু ও সূর্যের মতো শক্তির উৎসের ব্যবহার তিনগুণ বাড়ানো হলে বৈশ্বিক জলবায়ু লক্ষ্য পূরণে জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার ৮৫ শতাংশ কমে আসবে।

সোমালিয়ার জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক নাজিব আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সম্ভাবনা ও বিনিয়োগ আকর্ষণের সীমাবদ্ধতার মধ্যে এখনও অমিল রয়েছে।’

আফ্রিকা নবায়নযোগ্য শক্তিতে বৈশ্বিক বিনিয়োগের মাত্র ২ শতাংশ পায়। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার মতে, সোমালিয়ায় আফ্রিকার যেকোন দেশের তুলনায় উপকূলীয় বায়ু শক্তির সর্বোচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে, তবুও মহাদেশের সর্বনিম্ন বিদ্যুতায়নের হারগুলোর মধ্যে একটি তারা।

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ৩ গুণ বাড়াতে আলোচনা

ইউক্রেনের স্বজনহারা শোকার্ত মানুষ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাবেক সহকারি অ্যালেক্সি অ্যারেস্টোভিচ বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩ লাখের বেশি সেনা নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে কিয়েভ শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে দেশের জন্য ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে এনেছে।

গতকাল (শুক্রবার) সাংবাদিক জুলিয়া লাটিনিনাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান অ্যারিস্টোভিচ। তিনি আরো বলেন, যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল তা তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেন। সে সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনকে রাশিয়ার সাথে শান্তি চুতিতে পৌঁছানোর চেষ্টা বাদ দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে নেয়ার কথা বলেন।

অ্যারেস্টোভিচ বলেন, “আমি ইস্তাম্বুল আলোচনায় অংশ নেয়া প্রতিনিধিদলের একজন সদস্য ছিলাম কিন্তু আমি জানতে পারিনি কিভাবে সেই আলোচনা ভেঙে গেল।”

অ্যারেস্টোভিচ দাবি করেন ইউক্রেনের জোট নিরপেক্ষ থাকা এবং ন্যাটোর সদস্য না হওয়া ছিল মস্কোর জন্য রেড লাইন। কিন্তু সেই সময় কিয়েভ রাশিয়ার সাথে আলোচনা চালিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায় কিয়েভ। এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে এনেছে এবং ন্যাটো জোটে যোগ দেয়া এখনো অনিশ্চিত বলে মন্তব্য করেন জেলেনস্কির সাবেক সহকারী।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইউক্রেন ৩ লাখের বেশি সেনা হারিয়েছে  ; জেলেনস্কির সাবেক সহকারীর তথ্য

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় আবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের একটি টিম কাতার সফরে গেছে। কাতারের মধ্যস্থতাকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য তারা আজ (শনিবার) কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছায়।

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে প্রধানত কাতার মধ্যস্থতা করে আসছে। শুক্রবার যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার আগেও দেশটি আপ্রাণ চেষ্টা করেছে এর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য। কিন্তু ইসরাইলের অনেকটা একগুয়েমির কারণে তা সম্ভব হয়নি। জানা গেছে- নতুন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ইসরাইল তাদের বেসামরিক নাগরিকদের পরিবর্তে বন্দী নারী সেনাদের মুক্তি দাবি করেছিল। কিন্তু হামাস এখনই সেনা সদস্যদের মুক্তি দিতে রাজি হয়নি।

এদিকে, গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান এবং যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে উপকূলীয় শহর সিজারিয়ায় নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশ অন্তত ছয়জন আটক করেছে। বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, হামাসের ৭ অক্টোবরের অভিযান মোকাবেলা করতে নেতানিয়াহু ব্যর্থ হয়েছেন। আল-জাজিরা বলছে, আজ দিন শেষে বা রাতের দিকে সিজারিয়া শহরে আরো বড় বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মোসাদের টিম কাতারে ; নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

আরো খবর..

ঝিনাইদহ জেলার সংবাদ

আইন-আদালত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সব প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওসি-ইউএনওদের বদলির বিষয়ে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, মাঠপর্যায়ের তথ্য নিয়ে প্রশাসনে রদবদল করা হয়েছে। এতে প্রশাসনে বিশৃঙ্খলার কোনো ঝুঁকি নেই।

নির্বাচনে কতটি দল অংশ নিচ্ছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সেটি অনুযায়ী- এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭১৩ জন প্রার্থী আছেন, আর ২৯টি দল আছে। আগে ৩০টি দিয়েছিল। তবে তারমধ্যে জেডিপি বলে একটি আছে, সেটি কোনো দল না, সেটি স্বতন্ত্র হবে। তাই সবমিলিয়ে নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৯টি দল আমাদের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রয়োজন মনে করলে কমিশন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই। প্রশাসন এখন পর্যন্ত ভালোই দেখছি, কোনো অসুবিধা নেই।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ইসির নির্দেশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতে বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বদলির কারণে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া স্বতন্ত্রসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসি।

ইসির ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।

মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতেই ওসি-ইউএনওদের বদলি : ইসি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নারী ও কন্যার প্রতি সাইবার সহিংসতা রোধে ৮ দফা সুপারিশ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সাইবার জগতে নারীদের প্রতি সহিংসতা, ইমেইলে হয়রানি, সাইবার বুলিং, সাইবার পর্ণগ্রাফি প্রতিরোধে এ সুপারিশ জানানো হয়।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নারী ও কন্যার প্রতি সাইবার সহিংসতা: বাস্তবতা ও করনীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ সুপারিশ তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন।

কাবেরী গায়েন বলেন, নারীদের প্রতি সাইবার সহিংসতার ক্ষেত্রে সুরাহার পথ হল আইনি ব্যবস্থায় জোরারোপ ও সমাজ মনস্তত্ত্বের পরিবর্তন সাধন। আইনের ক্ষেত্রে সাইবার অপরাধের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞায়ন প্রয়োজন। সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে নারীদের অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে যে জড়তা তা দূর করার জন্য আইনের কোন সেকশনে অভিযোগ দাখিল করতে হবে, কি ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে সেটি জনগনকে জানাতে হবে।

সুপারিশসমূহ :
প্রথম: যেসব আইন এখন প্রণীত হয়েছে তাদের কার্যকারিতা এবং সমস্যার বিষয়ে গবেষণা প্রয়োজন। জাতীয় উদ্যোগে যেমন এই গবেষণা হতে পারে, তেমনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও গবেষণা পরিচালিত করতে পারে। কেননা পরিস্থিতি জানার জন্য পর্যাপ্ত তথ্য আমাদের হাতে নেই।

দ্বিতীয়: দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচার নিশ্চিত করতে পারলে ভুক্তভোগীদের আস্থা ফিরে আসবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উপর যা তাদের জড়তা কাটাতে সাহায্য করবে। বিচার পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণকে ধারণা দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম এবং লোকমাধ্যমের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। সহজে অভিযোগ দাখিলের জন্য মোবাইল অ্যাপস তৈরি করতে হবে।

তৃতীয়: ভুয়া আইডি শনাক্তকরন এবং তা বাতিল করতে পারলে সাইবার অপরাধ অনেকটাই কমতে পারে। টু-ফ্যাক্টর অথেনটিফিকেশন বাধ্যতামূলক করতে হবে। সাইবার অপরাধীদের নিরুৎসাহিত করার জন্য গাইডলাইন প্রনয়ণ করতে হবে। যেখানে কি করা যাবে এবং কি করা যাবে না তার পরিষ্কার নির্দেশনা থাকবে।

চতুর্থ: ডিজিটাল লিটরেসির কোন বিকল্প নেই। ফলে ডিজিটাল লিটারেসি ট্রেনিং এবং ডিজিটাল সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে সামাজিক এবং কমিউনিটি সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বড় পরিসরে সচেতনতা তৈরির প্রচারণা চালাতে হবে। এই সচেতনতা প্রচারণার মধ্যে থাকবে ডিজিটাল মিডিয়ার ব্যবহার, কিশোর-তরুণদের মিডিয়া ব্যবহারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিধান সম্পর্কে ধারণা ইত্যাদি। এ বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের সিলেবাসেও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

পঞ্চম: অপরাধ সংগঠিত হয় প্রথমে সাংস্কৃতিক মননে। কিশোর ছেলেরা আগে এলাকার মেয়েদের দিকে শিস ছুঁড়ে দিতে দিতে পুরুষ হয়ে উঠতো। সমাজে এই ব্যবহারের প্রশ্রয় ছিলো। এখন সেই শিস দেয়া মন সাইবার পরিসরে নিজেদের নিয়োজিত করছে। এই মনকে কেবল আইনি কাঠামো বা প্রযুক্তি শনাক্তকরণের মধ্য দিয়ে পরিবর্তন করা যাবে না। এর জন্য মনোজগতের পরিবর্তন প্রয়োজন। রাজনৈতিক পরিসরে কিশোর- তরুণ অপরাধী গ্যাং প্রতিপালনের সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে। তাই ক্যাম্পেইন পরিকল্পনায় রাজনৈতিক দলগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সামনে নির্বাচন। প্রত্যক রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে এ বিষয়ে পরিকল্পনা কী, সেই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।

ষষ্ঠ: সামাজিক মাধ্যমে নিয়োজিত অপরাধী মনকে শিক্ষিত করার জন্য, নারী এবং কন্যাদেরও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এবং নারীপুরুষ নির্বিশেষে মানবিক মন গড়ে তোলার জন্য গণমাধ্যমে ছোট ছোট নাটিকা, তথ্যচিত্র প্রদর্শন করার ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে। অর্থাৎ একটি সর্বমাত্রিক শিক্ষা-সচেতনতা কার্যক্রমের আওতায় আনতে হবে দেশের মানুষকে। সেইসব বার্তার উদ্দীষ্ট গ্রাহক যে কেবল তরুণ নারী-পুরুষ হবেন, এমন নয়। বাবা মা, অভিভাবক, স্থানীয় কমিউনিটি নেতা সবাইকেই শিক্ষিত করার লক্ষ্য থাকতে হবে।

সপ্তম: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নারীর প্রতি সাইবার অপরাধ কমানোর জন্য যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা জেনে, দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্যও গবেষণা করতে হবে।

অষ্টম: সাইবার অপরাধ কমানো দেশের সার্বিক নারী ও কন্যাদের মানবিক মর্যাদায় উন্নীত করার বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। এই কাজটি বহুস্তরভিত্তিক। প্রয়োজন যথাযথ বিনিয়োগ: বুদ্ধিবৃত্তিক এবং অর্থনৈতিক।

মত বিনিময় সভায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শ্যাম সুন্দর শিকদার, বাংলাদেশ ইয়ুথ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের সভাপতি সৈয়দা কামরুন জাহান রিপা, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিষ্ট ফোরামের সভাপতি নাজনীন নাহার, সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ এবং বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশন এর বক্সার তামান্না হক সহ প্রমুখ।

নারী ও কন্যার প্রতি সাইবার সহিংসতা রোধে মহিলা পরিষদের ৮ দিফা সুপারিশ

আরো খবর..

শিক্ষা

সারা বাংলা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঝালকাঠি- ১ আসনে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে নৌকা প্রতীক দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। শনিবার (২ ডিসেম্বর) ইসি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এই আসনে প্রথমে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুল হক হারুন, যিনি বিএইচ হারুন নামে পরিচিত। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে নৌকার পার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ঝালকাঠি- ১ আসন থেকে ছয় বার নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে সদ্য জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ার পরদিন আওয়ামী লীগে যোগ দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। ফলে একই আসনে নৌকা প্রতীকের দাবিদার দুই প্রার্থী। ঝালকাঠি-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দুই জনকে দলীয় মনোনয়ন দিলেও পরে মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে দলীয় প্রতীক বরাদ্দের অনুরোধ জানিয়ে রিটার্নিং অফিসারের নিকট চিঠি দিয়েছে দলটি।

ঝালকাঠি- ১ আসনে শাহজাহান ওমরকে নৌকা প্রতীক দিতে আওয়ামী লীগের চিঠি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিএনপির ডাকা অবরোধের সমর্থনে নারায়ণগঞ্জ শহরে মশাল মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের ডনচেম্বার এলাকায় এ মশাল মিছিল করে।

মিছিলে ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু ও যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন জনি প্রমুখ।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর ডনচেম্বার মোড় থেকে মশাল হাতে একদল নেতাকর্মী অবরোধের সমর্থনে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে। মিছিলটি শহরের মিশনপাড়া মোড়ে গিয়ে সড়কে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। পরে মশালগুলো সড়কে নিক্ষেপ করে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এসময় ডনচেম্বার ও মিশনপাড়ায় ফার্নিচার মার্কেটে আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছি। কোনো অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য জানা নেই। জনগনের জান মাল রক্ষায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

নারায়ণগঞ্জে অবরোধের সমর্থনে মশাল মিছিল

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব স্বতন্ত্রপ্রার্থী মশিউর রহমান রাঙ্গার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় দুদকের মামলার নিষ্পত্তির কপি জমা না দেওয়ায় তার মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়েছিল। তবে বিকেল ৪টার মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির কাগজ জমা দেওয়ায় মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি মামলার কাগজপত্র না দেওয়ায় প্রাথমিকভাবে তার মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছিল। পরে কাগজ জমা দিয়েছেন মশিউর রহমান রাঙ্গা। এ কারণে তার মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

এবারের সংসদ নির্বাচনে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে মনোনয়ন দেয়নি জাতীয় পার্টি (জাপা)। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

রংপুর-১ আসনে জাপার সাবেক মহাসচিব স্বতন্ত্রপ্রার্থী রাঙ্গার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম দিনে প্রতীক্ষিত যাত্রার পর পর্যটক নিয়ে প্রথম পর্যটন শহরে এসেছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাতে ১০২০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে যাত্রা করে রেলটি শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনে এসে পৌঁছায় বলে জানান কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আতিকুর রহমান। কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে শত বছরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথা দরিয়ানগরের মানুষের।

এদিকে রেলে কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে অধিকাংশ হোটেল কর্তৃপক্ষ। রেলের টিকিট দেখালেই ৬০-৭০ শতাংশ ডিসকাউন্ট মিলছে আবাসনে। তারকা হোটেলগুলোতেও ৫০ শতাংশ এবং ক্ষেত্র বিশেষে ৬০ শতাংশ ডিসকাউন্ট মিলছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় জনশূন্য কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম বাড়াতে এ উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার হোটেল-গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ১০২০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ছেড়ে যায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস। ফিরতি ট্রেনটি সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে সকাল ৮টায় কক্সবাজার স্টেশনে এসে পৌঁছায়। ট্রেনে সিংহভাগই পর্যটক। এসব পর্যটকদের জন্যই ৬০-৭০ শতাংশ ডিসকাউন্ট ঘোষণা করা হয়েছে। হোটেল-গেস্টহাউজ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ গতকাল এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়। হোটেলে এসে রেলে ভ্রমণের টিকিট প্রদর্শন করলেই এ সেবা পাবেন পর্যটকরা।

শনিবার সকালে কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনে সমিতিভুক্ত হোটেলের পক্ষ থেকে পর্যটকদের মাঝে প্রচারপত্রও বিলি করা হয়। একইঙ্গে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয় পর্যটকদের। এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরাও সহযোগিতা করেন।

কলাতলীর হোটেল বিচ হলিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হাফিজুর রহমান লাভলু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারবাসীর শত বছরের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করেছেন। এ খুশিতে পর্যটকদের জন্য আমরা বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছি। আগামী সাতদিন এ অফার থাকবে।

হোটেল-গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ বলেন, ট্রেন চালু হওয়ায় শুধু কক্সবাজারের মানুষ নয়, পুরো দেশের মানুষ আনন্দিত। দেশের যেকোনো প্রান্তের মানুষ সহজেই কক্সবাজার আসতে পারবে। এ খুশিতে আমরা বিশেষ এ ছাড় দিচ্ছি। ট্রেনের টিকিট দেখালেই আগামী সাতদিন এ সুবিধা পাবেন পর্যটকরা।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হোয়াইট অর্কিড হোটেলের মহাব্যবস্থাপক রিয়াদ ইফতেখার বলেন, বছরের এ সময় পর্যটকে ভরপুর থাকে কক্সবাজার। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় এবার ভরা মৌসুমেও পর্যটক শুন্য কক্সবাজার। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ধরনের ব্যবসায়ীদের। অনেক হোটেল কর্তৃপক্ষ অনিচ্ছা সত্ত্বেও শ্রমিক বিদায় করছেন। প্রায় ৫০ ভাগ রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় ট্রেনে পর্যটক আগমণ অব্যাহত থাকলে সব হোটেল যদি কম-বেশী পর্যটক পায় তাহলে ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে পুলিশ। কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপদে আসা-যাওয়া নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। টহল টিমের পাশাপাশি রয়েছে স্পেশাল ফোর্সও। এছাড়া পর্যটকদের সুবিধার্থে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, জরুরি সেবা ও হটলাইন।

 

সহকারী স্টেশন মাস্টার আতিক জানান, সিডিউল ছিল সকাল সোয়া ৭টায় বাণিজ্যিক প্রথম রেলটি স্টেশনে পৌঁছাবে। যাত্রায় একটু বিলম্ব হওয়ায় পৌঁছাতেও আধাঘণ্টার মতো বিলম্ব হলো। সংশ্লিষ্ট সবাই রেলটি আসার অপেক্ষায় ছিলাম। ঢাকাগামী যাত্রীদের যেভাবে ফুল দিয়ে অভিবাদন জানানো হয়েছিল ঠিক তেমনিভাবে রেলে প্রথম পর্যটক হয়ে আসা যাত্রীরা নামার সঙ্গে সঙ্গে ফুল ও লিফলেট দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের অভিবাদন জানিয়ে ঝামেলামুক্ত ভাবে স্ব স্ব গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তায় ১০ জন রেলওয়ে পুলিশ নিয়োজিত থাকছে। ঢাকা-কক্সবাজার রুটে শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ার ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ভাড়া ২ হাজার ৩৮০ টাকা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা ৩৮৬ টাকা, এসি সিট ৪৬৬ এবং এসি বার্থ ৬৯৬ টাকা।

গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে রেল নেটওয়ার্কে ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয় কক্সবাজার। পর্যটন এ শহরের সঙ্গে শুধু ঢাকা নয়, পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গেও এ রেলপথ যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির।

কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন প্রকল্পের প্রকৌশলী এনামুল হক সরকার জানান, ছয়তলার এই স্টেশনে রয়েছে চলন্ত সিঁড়ি, মালামাল রাখার লকার, হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিংমলসহ আধুনিক সব সুবিধা। ৪৬ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা সম্বলিত স্টেশনটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এতে আছে কনভেনশন হল, ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন বুথ, এটিএম বুথ, এমনকি প্রার্থনার স্থানও।

কক্সবাজারে রেলের টিকিট দেখালেই আবাসিক হোটেলে ৭০ শতাংশ ছাড়

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ ছেড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম) যোগ দিয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ আলী বাশার। এছাড়া বিএনএম’র দলীয় প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর-১ আসনে প্রবেশ এবং আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলায় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন শাহ্ মো. আবু জাফর। এসময় তিনিও শাহ্ মো. আবু জাফরের সঙ্গে যোগ দেন।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ফরিদপুর-১ আসনে বিএনএম’র দলীয় প্রার্থী শাহ্ মো. আবু জাফরের সঙ্গে সমর্থকদের নিয়ে যোগদান করেন সৈয়দ আশরাফ আলী বাশার। এ সময় বিএনএম’র দলীয় প্রার্থী শাহ্ মো. আবু জাফরের আলফাডাঙ্গায় আগমনে তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে অভিনন্দন জানান।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ আলী বাশার জাগো নিউজকে বলেন, ফরিদপুর-১ আসনের বিএনএম’র দলীয় প্রার্থী শাহ্ মো. আবু জাফরের আলফাডাঙ্গায় আগমন উপলক্ষে তাকে স্বাগতম ও অভিনন্দন জানিয়ে তার সঙ্গে থেকে নির্বাচন করবো।

কেন যোগদান করলেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নানা কারণ আছে। এই মুহূর্তে বিস্তারিত বলতে চাই না। আমি শুধু একা না, আমার কিছু সমর্থকও আমার সঙ্গে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরের নির্বাচন করবেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইফুর রহমান সাইফারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। তিনি কল রিসিভ করেননি।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন বলেন, বিগত পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন সৈয়দ আশরাফ আলী বাশার। আজ আবার বিএনএম এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ফরিদপুর-১ আসনে বিএনএম’র দলীয় প্রার্থী শাহ্ মো. আবু জাফরের সঙ্গে তিনি যোগদান করেছেন। রোববার আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিএনপি ছেড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম) যোগ দেন ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর। বিএনএম থেকে তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ২০ নভেম্বর বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফরকে বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

নতুন চমক ; ফরিদপুরে বিএনএমে যোগ দিলেন আওয়ামী লীগ নেতা

আরো খবর..

মানবাধিকার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি এলাকায় অবরোধের সময় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ ট্রাকের হেলপার বেলাল হোসেন (৩৫) মারা গেছেন।

হরতার-ধর্মঘটে যত মানুষ মরছে তার প্রত্যেকটির দায় ইহকাল ও পরকালে বিএনপি নেতাদের বহন করতে হবে। ঐসব মানূষগেুলো কিয়ামতের ময়দানে দাড়িয়ে যখন বিচার চাইবে তখন এইসব নেতারা টের পাবে বিনাদোষে মানুষগুলোকে হত্যার কি মজা।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম।

তরিকুল ইসলাম বরেন, বেলালের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।

এর আগে সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পর দিন মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনার জাতীয় বার্নে ভর্তি করা হয়।

নিহত বেলাল হোসেনের জামাই রাসেল জাগো নিউজকে জানান, সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সরকারি চালবোঝাই একটি ট্রাক মাটিরাঙ্গা তাইন্দং খাদ্য গুদামের উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথে গুইমারার হাফছড়ি ইউনিয়নের আলাউদ্দিনের বাড়ির সামনে পৌঁছালে রাস্তায় গাছ ফেলে দুর্বৃত্তরা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ট্রাকচালক ইসহাক মিয়া ও হেলপার বেলার হোসেন দগ্ধ হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শেখ হাসিনা বার্নের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, বেলাল হোসেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থানার মাটিরাঙ্গা আদর্শ গ্রামের শহিদুল হকের ছেলে।

খাগড়াছড়িতে অবরোধে দগ্ধ বেলাল মারা গেছে ; এসব হত্যার দায় বিএনপি নেতাদের বহন করতে হবে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : টানা ৭ দিনের যুদ্ধবিরতির পর গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আবার যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা গাজায় যুদ্ধবিরতির পর ৪০০ এর বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। আজ শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিফ এক বিবৃতিতে বলেছে, আকাশ, নৌ এবং স্থল বাহিনী গাজার লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও হামলা চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ফাইটার জেট খান ইউনিসে ৫০ এর বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে এক মসজিদকে লক্ষ্য করেও বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল বলছে, ওই মসজিদ ইসলামিক জিহাদ অপারেশনাল কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করতো।

তবে আইডিএফের এ দাবি বিবিসির পক্ষ থেকে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এদিকে হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৭৫ জন নিহত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে হামাস। সেইসঙ্গে হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায়। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ১২০০ জন। আহত হয় তিন হাজারের বেশি। সেইসময়ে ২৫০ জনকে অপহরণ করে হামাসের যোদ্ধারা।

এরপরে গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি। টানা প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে হামাস ও ইসরায়লের যুদ্ধের পর উভয়পক্ষ প্রথমে চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে যেতে সম্মত হয়। এরপর দুইধাপে আরও তিনদিন বাড়ানো হয়। গতকাল সকালেই সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়। এরপরেই উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে।

 

৭ দিনের যুদ্ধবিরতির পর শুক্রবার থেকে গাজায় ৪০০ স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া পিলিস্তিনি বন্দীরা বলছেন ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গত কয়েক সপ্তাহে তারা কারাগারে নির্বিচার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

তারা জানান, এসময় তাদের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাদের উপর কুকুর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের জামাকাপড়, খাবার দেওয়া হয়নি। তাদের কাছ কম্বল কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

তাদের মধ্যে একজন নারী বিবিসিকে জানিয়েছেন কারাগারে তাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়া তারা যে প্রকোষ্ঠে আটক ছিল তার ভিতরে দুবার টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।

গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ইসরায়েলি নারী ও শিশুদের বিনিময়ে এই সপ্তাহে এই প্যালেস্টাইনিদের মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। বিবিসি তাদের ছয়জনের সাথে কথা বলেছে। তাদের প্রত্যেকেই বিবিসিকে বলেন, জেল থেকে ছাড়ার আগে তাদের সবাইকে মারধর করা হয়েছে।

প্যালেস্টাইন প্রিজনার্স সোসাইটি বলছে, ইসরায়েলি কিছু রক্ষী হাতকড়া পরা বন্দীদের গায়ে প্রস্রাব করেছে।

গত সাত সপ্তাহে ইসরায়েলি হেফাজতে ছয়জন বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।

ইসরায়েল দাবি করছে, সকল বন্দিকে আইন অনুযায়ী আটক রাখা হয়েছে।

সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত প্যালেস্টাইনিদের একজন আঠারো বছর বয়সী মোহাম্মদ নাজ্জা। তিনি জানান তাকে আগস্ট মাস থেকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই নাফহা কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছিল। তিনি বলছেন কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা তিনি জানেন না।

অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরে জেনিনের কাছে কাবাতিয়া গ্রামে তার বাড়ি। সেখানে বিবিসির সাংবাদিকেরা গিয়ে দেখতে পান তার দুই হাতেই ভারি ব্যান্ডেজ। তিনি জানান,

দশ দিন আগে ইসরায়েলি কারারক্ষীরা মাইক্রোফোন ও স্পিকার নিয়ে তার সেলে গিয়ে বন্দীদের নাম বলে চিৎকার করতে থাকে এবং হাততালি দিয়ে তাদের ব্যঙ্গ করতে থাকে। এরপর যখন তারা দেখল বন্দীরা কোনো প্রতিক্রিয়া করছে না, তখন ওই রক্ষীরা তাদের মারতে শুরু করে।

এসময় বয়স্ক বন্দীদের পিছনে এবং তরুণদের সামনে রাখা হয়েছিল।

মোহাম্মদ নাজ্জা বিবিসিকে বলেন, তারা আমাকে মারতে শুরু করার পর আমি আমার মাথা রক্ষা করার চেষ্টা করছিলাম। পরে তারা আমার পা ও আমার হাত ভেঙে ফেলার চেষ্টা করতে থাকে।

সোমবার মুক্তি পাওয়ার পর মোহাম্মদের পরীক্ষা করানো হয়। মেডিকেল রিপোর্ট ও এক্স-রে রিপোর্টে তার উভয় হাতেই ফ্র্যাকচার দেখা যায়।

মোহাম্মদ বিবিসির সাংবাদিকদের বলেন, “শুরুতে অনেক ব্যথা লাগছিল। কিছুক্ষণ পর যখন বুঝলাম যে হাড়গুলো ভেঙে গেছে, সেগুলো নাড়াচাড়া বন্ধ করে দিই।

তিনি জানান, অন্য বন্দীরা তাকে খেতে এবং বাথরুম ব্যবহার করতে সাহায্য করে। আবার মারধর করা হবে এই ভয়ে তিনি রক্ষীদের কাছে চিকিৎসা সহায়তা চাননি।

মোহাম্মদের দাবি অস্বীকার করেছে ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিস। তাদের দাবি কারাগার থেকে বের হওয়ার আগে একজন চিকিত্সক দিয়ে তার পরীক্ষা করা হয়। সেখানে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি তার।

মহম্মদ বিবিসিকে বলেন, কারাগার থেকে বেরিয়ে রেড ক্রসের বাসে ওঠার পর প্রথম চিকিৎসা পান তিনি। এরপর রামাল্লার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্লাস্টারে না সারলে প্লেট লাগাতে হতে পারে।

মোহাম্মদ বলেন, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি কারাগারের ভেতরে রক্ষীদের আচরণ বদলে যায়। তিনি বলেন, রক্ষীরা তাদের লাথি মেরেছে। আঘাত করার জন্য লাঠি ব্যবহার করেছে। একজন প্রহরী তার মুখের উপর পাও তুলে দেয়।

তিনি আরো বলেন, “তারা তাদের কুকুর নিয়ে আসে। পরে আমাদের দিকে লেলিয়ে দেয়। তারপরে তারা আবার আমাদের মারধর শুরু করে। তারা আমাদের জামাকাপড়, বিছানা, বালিশ বাইরে এবং খাবার মেঝেতে ফেলে দেয়। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।”

মোহাম্মদ তার পিঠ ও কাঁধে আঘাতের চিহ্নগুলি বিবিসিকে দেখিয়ে বলেন, এই হচ্ছে সেই মারধরের চিহ্ন।

তিনি বলেন, আক্রমণকারী কুকুরটি মুখ ও নখ দিয়ে আমার সারা শরীরে চিহ্ন রেখে গেছে।

ইসরায়েলের মেগিদ্দো কারাগারে এই ধরনের মারধরের ঘটনা দুবার ঘটেছে বলে জানান মোহাম্মদ। এরপর নাফহা কারাগারে এ ধরনের ঘটনা আরো বেশি ঘটেছে বলে জানান তিনি।

অন্য আরো কয়েকজন প্যালেস্টাইনি বন্দীর সাথে কথা বলে একই রকম নির্যাতনের কথা শুনেছে বিবিসি। বন্দীরা বলেছে হামাসের কর্মকাণ্ডের জন্য প্যালেস্টাইনি বন্দীদের বিরুদ্ধে এটাকে “প্রতিশোধ” হিসাবে নিয়েছিল ইসরায়েলিরা।

প্যালেস্টিনিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটির প্রধান, আবদুল্লাহ আল-জাঘরি বিবিসিকে বলেন অনেক বন্দীর মুখ ও শরীরে হিংস্র প্রহারের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি হাতকড়া পরা বন্দীদের উপর প্রহরীদের প্রস্রাব করার অভিযোগও তিনি শুনেছেন বলে জানান বিবিসিকে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বিবিসি যোগাযোগ করলে ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিস বলেছে সমস্ত বন্দিকে আইন অনুযায়ী আটক রাখা হয়েছে এবং আইনানুগভাবে তাদের সমস্ত মৌলিক অধিকার রক্ষা করা হয়েছে।

বিবিসির কাছে পাঠানো বিবৃতিতে ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “বিবিসি বর্ণিত এসব দাবির বিষয়ে আমরা অবগত নই। তারপরও, বন্দী ও আটক ব্যক্তিদের অভিযোগ দায়ের করার অধিকার রয়েছে। কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখবে।”

এই সপ্তাহের শুরুতে কারাগার থেকে মুক্তি পান প্যালেস্টাইনি নারী লামা খাতের। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, অক্টোবরের শেষের দিকে গ্রেপ্তারের পরপরই ইসরায়েলের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা তাকে “স্পষ্টভাবে ধর্ষণের হুমকি” দেন।

লামা লিখেছেন, “আমাকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল এবং চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল। তারা আমাকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিল। … এটা স্পষ্ট যে তাদের লক্ষ্য ছিল, আমাকে ভয় দেখানো।”

লামা খাতের টেলিফোনে বিবিসিকে বলেন অন্য নারী বন্দিদেরও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ড্যামন কারাগারে বন্দীদের ওপর টিয়ার গ্যাস মারা হয়েছিল।

ইসরায়েলি কারাগারে ছয়জন প্যালেস্টাইনির মৃত্যুর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেছে, গত সপ্তাহে চারটি ভিন্ন তারিখে চারজন বন্দী মারা গেছেন। তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।

কারাগারে নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিরা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে গত তিন ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর আগে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায় যে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে ওই হামলা চালানো হয়। অপরদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে হামলার ঘটনায় দুই শিশু নিহত হয়েছে। আল আহলি হাসপাতালের চিকিৎসক ড. ফাদেল নাইমের বরাত দিয়ে এএফপির এক খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে পুণরায় লড়াই শুরু হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েল। সেখানে যুদ্ধবিরতি শেষ হতে না হতেই দুপক্ষের মধ্যে আবারও লড়াই শুরু হয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ২৪ নভেম্বর দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজায় জিম্মি হিসেবে আটকে রাখা ১১০ জনকে মুক্তি দিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। অপরদিকে কারাগার থেকে ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৩ ঘণ্টায় ৩২ ফিলিস্তিনির নিহত

আরো খবর..

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শাহজাহান ওমর অনুপ্রবেশকারী নয়, কেউ বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসলে গণতান্ত্রিক ভাবে কিছু বলার নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে অনেক বাধা বিপত্তি আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, হরতাল দিয়েও বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাচনকে বাধা দেওয়া যায়নি। কিছু কিছু দল নির্বাচন থেকে দূরে থাকলেও জনগণ নির্বাচনমুখী। অনেক অপচেষ্টার পরও বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপির এক দফা গভীর গর্তে পড়েছে, তাদের আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে, এতে বিএনপির নেতাকর্মীরাও হতাশ। বিএনপির ডাকে নেতাকর্মীরা ভবিষ্যতে আন্দোলনের মাঠে নামবে কি না এটা সন্দেহ। বিএনপির সর্বনাশা ভুল নীতির জন্য দলে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বের ওপর হতাশ হয়ে অনেকেই নির্বাচন করেছেন। তৃণমূল বিএনপির সবাই বিএনপির লোক।

তিনি আরও বলেন, ২৯টি দল নির্বাচনমুখী, বিএনপিসহ ১৪/১৫ টি দল নির্বাচনের বাইরে। নির্বাচনে জনগণের উৎসব উদ্দীপনা দেখে মনে হচ্ছে বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি আসবে।

কাদের বলেন, বিএনপির ষড়যন্ত্রের কালো হাত জনগণই ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ভেঙে দেবে। বিএনপির কেউ যদি দল পরিবর্তন করলে সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে কাউকে ব্ল্যাকমেইলিং করে নির্বাচনে আনা হচ্ছে না।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে কাদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভিওয়েট প্রার্থীকে ফেলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে গেলে সেটাকে বাঁধা দেওয়া গণতন্ত্র নয়। স্বতন্ত্র হোক আর যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন করুক, জনগণের নির্বাচনে ভোট দিয়ে যাচাই হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতকে জড়িয়ে প্রোপাগাণ্ডা পাকিস্তান আমল থেকে শুরু হয়েছে। নির্বাচনের আসলে ভারত আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে প্রোপাগাণ্ডা হয় এটা নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়। নির্বাচন কমিশন আইনগত সম্পূর্ণ স্বাধীন। স্বাধীনভাবে সব ব্যবস্থা তারা নিতে পারে। আইআরআই এর সমীক্ষা বলেছে ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনার পক্ষ। বিএনপির ভুল রাজনীতির কারণে তারা জনসমর্থন হারিয়েছে। শেখ হাসিনার সব সিদ্ধান্তের প্রতি দলের নেতাকর্মীরা আস্থাশীল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পুলিশ হত্যাসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে বিএনপির যেসব নেতা জেলে রয়েছে তারা দায় এড়াতে পারবে না। তাদের বিচার হচ্ছে। একইভাবে সামনের দিনগুলোতে নির্বাচন সংক্রান্ত কোথাও কোনো সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা হলে, সব কিছুই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।

শাহজাহান ওমর অনুপ্রবেশকারী নয় ; দল ছেড়ে দলে এসেছেন : ওবায়দুল কাদের

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেশ ও জনগণই মুখ্য, অন্য কিছু নয়। যার কারণে বিগত ১০ বছর সিসিক মেয়রের পদ আওয়ামী লীগের না হলেও উন্নয়নে বিন্দুমাত্র বৈষম্য ছিল না।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেটে নিজ বাসভবনে সিটি করপোরেশেনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সিলেট-১ আসন অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আসন। আর এই আসনের ভোটারদের কাছে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাদের সুবিধা অসুবিধায় কাউন্সিলররা সবসময় পাশে থাকেন। একই সঙ্গে তারা সরকারের মাঠ পর্যায়ের সেবা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই ভোটারদের নির্বাচনমুখী করতে কাউন্সিলদের কোনো বিকল্প নেই। এ আসনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতেই হবে।

সভায় সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা নির্বাচনে বিজয় সুনিশ্চিতের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারণা ও ভোটারদেরকে নির্বাচনমুখি করার বিভিন্ন দাবি, পরিকল্পনা, সুপারিশ প্রদান করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেগুলো বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিনী সেলিনা হোসেন, সিসিকের কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, জগদীশ চন্দ্র দাশ, আজাদুর রহমান আজাদ, তৌফিক বক্স, শান্তনু দত্ত সনতু, এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা।

 

 

শেখ হাসিনার কাছে দেশ ও জনগণই মুখ্য : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান ব্যয়বৃদ্ধি মেটাতে একটি সমন্বিত সর্বজনীন অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং কপ২৮ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে কপ২৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে ‘রাইজিং উইথ দ্য টাইড: ট্র্যাকিং রিফর্মস ইন ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার ফর এক্সিলারেটেড ডেভেলপমেন্ট-পজিটিভ ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় পৃথিবী গ্রহটিকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তিনি এ আহ্বান জানান।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম এবং ভালনারেবল ২০ দেশের জোটের (সিভিএফ-ভি ২০) বর্তমান চেয়ারম্যান ঘানার রাষ্ট্রপতি নানা আকুফো-আডোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন ফোরামের পরবর্তী চেয়ারম্যান বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে, ফোরামের থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ এবং প্রথম মহাসচিব মোহাম্মদ নাশিদ।

ঘানার রাষ্ট্রপতি এই ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বের দুই মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তথ্যমন্ত্রী পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সিভিএফ-ভি ২০ ফোরমে দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ুঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো সহনীয়তা ও সক্ষমতায় সমৃদ্ধ হয়েছে। সেই সময়ে বৈশ্বিক জয়েন্ট মাল্টি ডোনার ফান্ড গঠন এবং দেশে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ প্রণীত হয়েছে।

জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’র অধীনেই প্রতি বছর দেশের প্রয়োজন ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। একই সঙ্গে মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশ উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ নয়, বরং এর অসহায় শিকার। তবুও বঙ্গবন্ধুকন্যার পরিকল্পনামাফিক ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ ৪০ শতাংশ সবুজ শক্তি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে চলেছে।

মন্ত্রী পরে কপ২৮ প্রেসিডেন্সি গোলটেবিল বৈঠকে ‘অ্যাক্সিলারেটিং ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ বৈঠকেও অংশ নেন।

জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সব প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওসি-ইউএনওদের বদলির বিষয়ে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, মাঠপর্যায়ের তথ্য নিয়ে প্রশাসনে রদবদল করা হয়েছে। এতে প্রশাসনে বিশৃঙ্খলার কোনো ঝুঁকি নেই।

নির্বাচনে কতটি দল অংশ নিচ্ছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সেটি অনুযায়ী- এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭১৩ জন প্রার্থী আছেন, আর ২৯টি দল আছে। আগে ৩০টি দিয়েছিল। তবে তারমধ্যে জেডিপি বলে একটি আছে, সেটি কোনো দল না, সেটি স্বতন্ত্র হবে। তাই সবমিলিয়ে নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৯টি দল আমাদের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রয়োজন মনে করলে কমিশন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই। প্রশাসন এখন পর্যন্ত ভালোই দেখছি, কোনো অসুবিধা নেই।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ইসির নির্দেশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল নির্বাচনে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) লন্ডনে জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত বিশেষায়িত এ এজেন্সির ৩৩ তম অধিবেশনে ৪০ সদস্যের নতুন আইএমও কাউন্সিল নির্বাচিত হয়।

এবারের ‘সি’ ক্যাটাগরির কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচনে ২৫ টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ১৬৮টি বৈধ ভোটের মধ্যে বাংলাদেশ ১২৮টি ভোট পেয়ে ১৬তম হয়ে নির্বাচিত হয়।

জানা যায়, আন্তর্জাতিক শিপিং পরিষেবা প্রদানে সর্বাধিক আগ্রহী এমন দশটি দেশ ‘এ’ ক্যাটাগরিতে, আন্তর্জাতিক সমুদ্রবাহিত বাণিজ্যে সর্বাধিক আগ্রহী এমন দশটি দেশ ‘বি’ ক্যাটাগরিতে এবং ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত নয় অথচ যাদের সামুদ্রিক পরিবহন বা নেভিগেশনে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে এমন ২০টি দেশ ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়।

 

এবারের নির্বাচনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথম থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এ অর্জন বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান এবং বৈশ্বিক মেরিটাইম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক সমর্থনের একটি প্রমাণ। এ বছরের জুনে নিরাপদ জাহাজ পুনর্ব্যবহার সংক্রান্ত হংকং কনভেনশনে বাংলাদেশের অনুসমর্থন যা আন্তর্জাতিক মেরিটাইম মানদন্ড বজায় রাখতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার প্রতিফলিত করেছে। তা এই নির্বাচনে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। এ নির্বাচন মেরিটাইম সেক্টরকে সুগঠিত ও সুশৃংখল এবং সংগঠিত করবে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ পরিচালনা এবং জাহাজ পুনর্ব্যবহার সেক্টরে দক্ষতা বৃদ্ধি করে বৈশ্বিক খ্যাতি অর্জন করবে।

জানা যায়, আইএমও জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত সর্বোচ্চ বিশেষায়িত সংস্থা। এটি শিপিং সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং সামুদ্রিক ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী কাজ করে। আইএমও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সহায়তা করে। এটি বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্প ও সরকারের সকল নিয়ন্ত্রক, আর্থিক, আইনগত ও কারিগরি সহযোগিতার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১৭৫ টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি মর্যাদাপূর্ণ সংস্থা। আইএমওর হেডকোয়ার্টার লন্ডনে অবস্থিত। নৌপরিবহন অধিদপ্তর বাংলাদেশের আইএমও’র ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

বাংলাদেশ আইএমওর কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতে বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বদলির কারণে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া স্বতন্ত্রসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসি।

ইসির ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।

মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতেই ওসি-ইউএনওদের বদলি : ইসি

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ রবিবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৩ ইং
  • ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ১৮ই জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
  • এখন সময়, ভোর ৪:১৫

বিচিত্র খবর

আরো খবর..

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

আরো খবর..

গণমাধ্যম

আরো খবর..

আজকের বাংলা তারিখ

December ২০২৩
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Nov    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

অর্থনৈতিক